সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১৫ ১৪৩১
|| ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৬ এপ্রিল ২০২২
রাজশাহীর বাঘায় অসময়ে পদ্মার ভাঙন শুরু হয়েছে। গত তিনদিন থেকে চকরাজাপুর ইউনিয়নের কালিদাসখালী ও লক্ষীনগর এলাকা ভাঙছে।
অতিশীঘ্রই এই পদ্মা নদীতে বাঁধের ব্যবস্থা না করা হলে সামনে বন্যায় চকরাজাপুর উচ্চ বিদ্যালয়, চকরাজাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরকালিদাসখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, লক্ষীনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব চরকালিদাসখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চকরাজাপুর বাজার, চকরাজাপুর কমিউনিটি ক্লিনিক, চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চিহ্ন থাকবে না। ফলে চকরাজাপুরবাসী হুমকির মধ্যে বসবাস করছেন।
অসময়ে এই পদ্মার ভাঙনে তিনদিনের ব্যবধানে শত শত বিঘা জমি পদ্মা গর্ভে চলে গেছে। পদ্মার চরে বসবাসকারীদের যাওয়ার কোনো জায়গা নেই। এমনকি জমিও নেই। তারা নিরুপায় হয়ে পড়েছে। তাদের বাড়ি করার জমিও কেউ দিচ্ছে না। টাকার বিনিময়েও লিজ দিচ্ছে না। তারা মানবেতর জীবন যাবন করছে।
কালিদাসখালী চরের নুর মোহাম্মদের তিন বিঘা জমির পেঁয়াজ তিনদিনের ব্যবধানে পদ্মাগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বাড়ি নিয়ে হুমকির মধ্যে আছেন। বাড়ি করার জন্য কোনো জমি লিজ পাচ্ছেন না। ফলে নিরুপায় হয়ে পড়েছেন। তার মতো শত শত মানুষ অসময়ে এই ভাঙনের কারণে হুমকির মধ্যে বসবাস করছেন।
৩ নম্বর কালিদাখালী চরের আবদুস সালাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশে অনেক ভূমিহীনদের বাড়ি করে দিয়েছেন। এই চরে তেমনিভাবে ভূমিহীনদের জন্য বাড়ির ব্যবস্থা করলে হয়তো নদীভাঙা মানুষগুলো সেই বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে বসবাস করতে পারত। নদী ভাঙতে ভাঙতে নিস্ব হয়ে গেছি। যাওয়ার কোনো জায়গা নেই। কোনো উপায় না পেয়ে অনেকেই অন্যের জমির উপর চালা করে বসবাস করছি।
চকরাজাপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চরকালিদাখালী চরের মেম্বার শহিদুল ইসলাম বলেন, এই ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা এক হাজার ২৬২ জন। পরিবার ছিল চার শতাধিক। এরমধ্যে নদীভাঙনের কারণে ইতিমধ্যে দেড় শতাধিক পরিবার বিভিন্ন স্থানে চলে গেছে। অসহায়দের পাশে সব সময় থাকার চেষ্টা করি। নিজের ব্যক্তিগত অর্থায়নে ও সরকারিভাবে তাদের সব সময় সহায়তা প্রদান করা হয়। তিনদিন থেকে হঠাৎ আবারও অসময়ে এমনভাবে নদীভাঙন দেখা দিবে কল্পনা করতে পারিনি।
চকরাজাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আজিজুল আযম বলেন, আমরা নদীভাঙনে নিরুপায়। ভাঙনের কারণে ১০ বছরের ব্যবধানে আমার চারবার বাড়ি সরিয়ে নিতে হয়েছে।
চকরাজাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাবলু দেওয়ান বলেন, অসময়ে নদীভাঙনের বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পাপিয়া সুলতানা বলেন, অসময়ে পদ্মা নদীভাঙনের বিষয়ে অবগত আছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হচ্ছে।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়