শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১৩ ১৪৩১
|| ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৩১ মার্চ ২০২০
করোনা ভাইরাসজনিত পরিস্থিতিতে বাইরে বের হতে না পারা কর্মহীন নিম্ন আয়ের দরিদ্র জনগোষ্টির মাঝে প্রধান মন্ত্রীর ত্রান তহবিল থেকে (দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয় কর্তৃক প্রদত্ত) প্রাপ্ত চাল বিতরন শুরু করা হয়েছে।
জনসমাগম এড়াতে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, পৌর মেয়র, ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের সদস্যগন সমন্বয় করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে চাল বিতরন করেছেন। রোববার (২৯ মার্চ) থেকে এ চাল বিতরণ শুর করা হয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী হেকমত আলী বলেন, উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভার অনুকুলে সর্বমোট ৩৬ টন বরাদ্দকৃত চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৭টি ইউনিয়নে (বাজুবাঘা, গড়গড়ি, পাকুড়িয়া, মনিগ্রাম, বাউসা, আড়ানী ও চকরাজাপুর) ২৮ মেঃটন ও ২টি পৌরসভার (বাঘা ও আড়ানী) অনুকুলে ৮ মেঃটন।
মনিগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম ও বাউসা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান শফিক জানান, তাদের নিজ নিজ ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের ৩৪০ জনকে ১০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে। একই কথা জানালেন চক রাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজিজুল আযম, আড়ানি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রফিক। এর বাইরেও কিছু চাল রিজার্ভ রাখা আছে বলে জানান তারা। জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য সেগুলো উত্তোলন করে বিতরণ করা হবে।
পাকুড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেরাজুল সরকার মেরাজ জানান,তার ইউনিয়নে ৪০০জনকে ১০ কেজি করে চাল বিতরন করেছেন। ১০ কেজি করে সাড়ে ৩শ’জনকে চাল দিয়েছেন বলে জানান বাজু বাঘা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এ্যাড.ফিরোজ আহম্মেদ রনজু। বাঘা ও আড়ানি পৌরসভাও প্রাপ্ত চাল বিতরণ করেছে।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাড. লায়েব উদ্দীন লাভলু ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহিন রেজা বলেন, পৌর মেয়র, কাউন্সিলর, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বরদের মাধ্যমে অতিদরিদ্র, প্রতিবন্ধী ও অস্বছলদের তালিকা নিয়ে এই চাল বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিরতরণ করেছেন।
এদিকে ভয়ংকর এ ভাইরাস থেকে এলাকাবাসিকে সুরক্ষিত রাখার জন্য কাজ করছেন, সেনাবাহিনী, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বসে নেই পৌরসভা থেকে শুরু করে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত প্রতিনিধি ও কর্মকর্তারা।
এ ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও রাজনৈতিক দল, তরুন সমাজ এবং ব্যক্তি উদ্যোগে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক, হ্যান্ডওয়াশ ও খাবার বিতরণসহ সামাজিক সচেতনতায় কাজ করছেন। পাড়া-মহল্লায় রাস্তার মোড়ে মোড়ে বসানো হয়েছে হাত ধোয়ার বেসিন।
সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নানা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে উপজেলা ও পৌরশহর থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত গ্রামের রাস্তাঘাটে ছিটানো হচ্ছে জীবাণুনাশক পানি।
বাঘা পৌর মেয়র আব্দুর রাজ্জাক ও আড়ানি পৌর মেয়র মুক্তার আলী জানান, এছাড়াও তারা মাইকিংয়ের মাধ্যমে সচেতনতামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। মসজিদ পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত লোকজন এবং ইমাম-মোয়াজ্জিন পাঁচবার নামাজের আগে করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত বিষয়ে সচেতন মূলক কথা বার্তা বলছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. অফিসার ডাঃ আকতারুজ্জামান জানান, করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় তারা যথেষ্ট তৎপর রয়েছেন। জনসচেতনতা বাড়াতে নিজ উদ্যোগেই কাজ করছেন স্থানীয় সংবাদ কর্মীরাও । অপরদিকে লোকজন ঠিকমতো হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকছেন কিনা তাও তদারকি করা হচ্ছে।
কিন্তু কড়া নির্দেশনা সত্বেও বাইরে ঘোরাফেরা করছেন কেউ কেউ। অন্যদিকে বাজার মনিটরিং করে দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ন্ত্রনে রাখার চেষ্টা করছেন স্থানীয় প্রশাসন। কিন্ত অসাধু কতিপয় ব্যবসায়ীদের কারণে লাগাম টেনে ধরে রাখাও কষ্টকর হচ্ছে। তবে করোনা মোকাবিলায় উপজেলা, পৌরসভায় ও ইউনিয়নে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
স/মা
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়