শনিবার ১৮ মে ২০২৪ ||
জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১
|| ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ২৬ জানুয়ারি ২০২২
বন্ধুদের নিয়ে ঘুরতে ঘুরতে একসময় গ্রামের ভেতরে চলে যান শাহদৌলা সরকারি কলেজের প্রভাষক আব্দুল হানিফ মিঞা। হাঁটছেন আর গল্প করছেন। হঠাৎ তার উৎসুক চোখ আটকে গেল একটি বাড়ির টিনের চালায়। দেখতে পেলেন ১টি বিরল প্রজাতির কালোমুখো হনুমানের। এমন দৃশ্যের সম্মুখীন হন প্রভাষক আব্দুল হানিফ ও তার বন্ধুরা।
রাজশাহীর বাঘা উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের আলাইপুর গ্রামের থান্দার পাড়ার লিটনের বাড়ির টিনের চালায় হনুমানটির দেখা মেলে। পিঠ ও দেহের ওপরের লোম গাঢ় ধূসর-বাদামি। বুক-পেট ও দেহের নিচ, লালচে-বাদামি বা সোনালি। লোমবিহীন মুখমন্ডল, হাত ও পায়ের পাতা কুচকুচে কালো। এমনভাবে মাথা ঢেকে রেখেছে, মনে হবে যেন টুপি পরে রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, খাবারের সন্ধানে ছুটেছে কখনো বাসাবাড়ি, কখনো গাছের ডালে। হনুমানটি খাদ্যের অভাবে দলছুট হয়ে নিজ এলাকা ছেড়ে এই এলাকায় এসেছে। মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) থেকে হুনুমানটি এলাকায় দেখা যাচ্ছে।
স্থানীয় নজরুল ইসলাম জানান, হনুমানটি এ গ্রামে এসেই বিভিন্ন ক্ষেতের টমেটোসহ বিভিন্ন গাছের ফল খাচ্ছে আর নষ্ট করছে। গতকাল মঙ্গলবার কয়েক যুবক হনুমানটিকে লক্ষ্য করে ঢিল ছুড়তে থাকে। এ সময় হনুমানটি বাড়ির টিনের চালায় চড়ে বসে। এমন সময় স্থানীয় একজন ব্যবসায়ী ওই হনুমানটিকে একটি পাউরুটি দিলে হনুমানটি তা নিয়ে খেতে থাকে।
বাঘা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আমিনুল ইসলাম জানান, এক সময় সুন্দরবন-পার্বত্য চট্রগ্রাম অঞ্চলে প্রচুর কালোমুখো (মুখ কালো) বড় প্রজাতির হনুমানের দেখা যেত। এখন শুধুমাত্র কিছু হনুমান রয়েছে, তাও খাদ্যাভাবে দলছুট হয়ে বিভিন্ন স্থানে চলে যাচ্ছে এবং মারাও যাচ্ছে। না দেখে বলা মুস্কিল। তবে আকার-আকুতির বর্ননায় এখন বলা যায়, এ প্রজাতির হনুমান বিলুপ্তির পথে। তাই একে বিরল প্রজাতির কালোমুখো হনুমান বলা হয়।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়