শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১৩ ১৪৩১
|| ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ১৯ আগস্ট ২০২১
রাজশাহীর বাঘায় পদ্মার চরে পানিবন্দি মানুষের একমাত্র ভরসা ডিঙি নৌকা। টিনের তৈরি এই ডিঙি দিয়ে বর্ষা মৌসুমে যাবতীয় কাজ করেন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা ডিঙিতে এক স্থান থেকে আরেক স্থানে যায়।
পদ্মার মধ্যে উপজেলার চকরাজাপুর ইউনিয়নে ১৫টি চর রয়েছে। এই চরে প্রায় সাড়ে তিন হাজার পরিবার রয়েছে। প্রায় তিন শতাধিক পরিবার চকরাজাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। এখন পর্যন্ত পানিবন্দি মানুষকে সরকারি বা বেসরকারিভাবে কোনো ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হয়নি।
পদ্মার চরের মানুষের আয়ের প্রধান উৎস কৃষিকাজ। কয়েক দিনে পদ্মায় পানি বৃদ্ধির কারণে চারদিকে পানি উঠে ফসলি জমি ও বাড়িঘর ডুবে গেছে। এরমধ্যেই অনেকেই ডিঙি নিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাছ ধরে বাজারে বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছেন।
চকরাজাপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার আনোয়ার হোসেন শিকদার জানান, আমার ওয়ার্ডের কমিউনিটি ক্লিনিক পদ্মার ভাঙনে হুমকির মধ্যে রয়েছে। তবে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্লিনিকে পানি উঠেছে। যে কোনো সময় পদ্মা গর্ভে চলে যাবে।
কালিদাসখালী চরের ৩৫ বছর বয়সের শেখ রবিউল ইসলাম জানান, পদ্মার চরের অধিকাংশ মানুষ দরিদ্র। বন্যাকে মোকাবেলা করে জীবন যাবন করতে হয়। টিনের তৈরি ডিঙি নিয়ে পারিবারিকভাবে সব কাজ করি। বাড়িতে দুটি গরু আছে। গরুর খাদ্য সংগ্রহ করে ডিঙিতে নিয়ে যায়। বাড়ির মধ্যে পানি জমে আছে। কাজকর্ম নেই। এখন পর্যন্ত কোন সহায়তা পায়নি।
চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আজিজুল আজম জানান, পদ্মার পানি বৃদ্ধির কারণে চরের মানুষের ৫০ শতাংশ জমির ফসল পানির নিচে তলি গেছে। এদিকে ভাঙনে চরের শতাধিক পরিবার গৃহহারা হয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন।
তবে তারা গরু-ছাগল নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। পানিবন্দি মানুষের একমাত্র ভরসা টিনের তৈরি ডুঙ্গা। চরের মানুষের কোন প্রয়োজন হলে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ডিঙিতে যাতাযাত করে। তারপরও পানিবন্দি মানুষের জন্য এখন পর্যন্ত সরকারি বা বেসরকারি ত্রাণ সহায়তা দেয়া হয়নি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পাপিয়া সুলতানা জানান, পদ্মার চরের পানিবন্দিদের ত্রাণ সহাযোগিতার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। সহযোগিতা পেলে তাৎক্ষণিকভাবে সহায়তা প্রদান করা হবে।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়