শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১৩ ১৪৩১
|| ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ২২ ডিসেম্বর ২০২১
রাজশাহীর বাঘা উপজেলার পদ্মার চরে পেঁয়াজ চাষ করে সফলতার স্বপ্ন দেখছেন চাষিরা। গতকাল মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) পদ্মার মধ্যে কালিদাসখালী চরে চাষিদের পেঁয়াজ জমি পরিচর্চা করতে দেখা গেছে।
বাঘা উপজেলার দুর্গম পদ্মার চরের কালিদাসখালী এলাকার আবদুস সালাম নামের এক পেঁয়াজ চাষি লেবার দিয়ে কুয়াশা ভেদ করে শীতের সকালে পেঁয়াজের জমি পরিচর্চা করছিলেন। গত বন্যায় পদ্মার পানি নামতে দেরি হওয়ায় দেরিতে রোপন করতে হয়। কিন্তু চলতি মৌসুমে বন্যার পানি আগে নেমে যাওয়ায় পেঁয়াজ আগাম রোপন করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে পেঁয়াজের বাজার মুল্য ভালো পাবেন বলে আশা করছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল প্রায় ৩ হাজার হেক্টর। চাষ হয়েছে সাড়ে ৩ হাজার হেক্টর। এরমধ্যে অর্ধেকের বেশি লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে উপজেলার দুর্গম পদ্মার চরাঞ্চলে। আগাম পেঁয়াজ চাষিরা ভাল ফলন ও বেশি দাম পাবেন বলে জানান। চরাঞ্চলের পেঁয়াজের গুণগতমান ভালো হওয়ায় বিভিন্ন এলাকা থেকে বাস ও ট্রাক যোগে পেঁয়াজ কিনতে আসেন ব্যবসায়ীরা।
পদ্মার মধ্যে চকরাজাপুর চরের পেঁয়াজ চাষি বাবলু দেওয়ান ও আকছেদ আলী শিকদার জানান, এবার পদ্মার পানি আগে নেমে যাওয়ার কারনে চলতি মৌসুমে আগাম পেঁয়াজ চাষ করা হয়েছে। আশা করছি ফলন ভাল হবে। তবে ভারত থেকে কোন এসসি না আসলে ৭েয়াজ চাষ করে লাভবান হবে।
চকরাজাপুর চরের পেঁয়াজ চাষি গোলাম মোস্তফা জানান, গত বছর ৩ বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করে বাজার মূল্য পেয়েছিলেন ৩৫-৪০ টাকা প্রতিকেজি। এবারও আশা করছন ওই দামই পাবেন। বর্তমান বাজারে নতুন পেঁয়াজ পাইকারী হিসেবে ৩০-৩৫ টাকা প্রতিকেজি হিসেবে ক্রয় বিক্রয় হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার শফিউল¬াহ সুলতান জানান, এ বছর উপজেলায় সর্বত্রই কম-বেশি পেঁয়াজের চাষ হেেয়ছে। উপজেলার সমতল এলাকায় যে বেশি পরিমাণ পেঁয়াজ উৎপন্ন হয় পদ্মার চরে। তবে পেঁয়াজ চাষিদের সব সময় পরামর্শ দেয়া হয়।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়