মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ ||
বৈশাখ ৩১ ১৪৩১
|| ০৬ জ্বিলকদ ১৪৪৫
প্রকাশিত: ৭ মে ২০২২
ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রস্তাবিত বাণিজ্য চুক্তি ‘বাংলাদেশ-ভারত সুসংহত আর্থিক সহযোগিতা চুক্তি’র খসড়া শুক্রবার অনুমোদন করেছে। এখন এ খসড়া অনুমোদনের জন্য বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হচ্ছে। মে মাসের শেষ সপ্তাহে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন যখন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকরের সঙ্গে গৌহাটিতে মিলিত হবেন তখন এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। এ চুক্তির মূল উদ্দেশ্য ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য ৪০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা এবং বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য ঘাটতি পর্যায়ক্রমে কমিয়ে আনা।
বাংলাদেশের এক উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল ভারতে আসেন গত মার্চে। তারা বাণিজ্য চুক্তির খসড়া তৈরির জন্য একটি রিপোর্ট তৈরি করেন। চুক্তির তিনটি লক্ষ্য- পণ্য চলাচল, পরিষেবা এবং পুঁজি লগ্নির পথ প্রশস্ত করা। নয়াবাজার, সহযোগিতা ও অংশীদারিত্বের মাধ্যমে যোগাযোগ বিস্তৃত করা। অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্কের সমস্যা এতে মিটবে বলে আশা করা হচ্ছে এবং মাল্টি মোডাল কানেকটিভিটির মাধ্যমে পণ্যের উৎস সংক্রান্ত সমস্যা সমাধান করা হবে।
এ আর্থিক চুক্তির মাধ্যমে অভিন্ন স্বার্থের বিষয়গুলোর মধ্যে রেল ও বন্দর পরিকাঠামো, সীমান্ত হাট, গ্রিন টেকনোলজির সহযোগিতার মতো নয়া ক্ষেত্র থাকবে। এ ছাড়া প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে এবং ভ্যাকসিন যৌথ উৎপাদনের বিষয়গুলো গুরুত্ব পাবে। ভারত যেমন পরিষেবা ক্ষেত্রগুলো সম্প্রসারিত করবে তেমনি বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্র প্রস্তুত হবে। উপআঞ্চলিক বাণিজ্য প্রসার এবং এশিয়ান হাইওয়ে নেটওয়ার্কে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তি ঘটবে এবং উপআঞ্চলিক মঞ্চের মধ্যে বিমস্টেক, বিবিআইএন এবং বিসিআইএম ক্ষেত্রগুলো দুই দেশ যৌথভাবে বাণিজ্য প্রসার ঘটাতে পারবে।
ভারতের যুক্তি : এতে বাংলাদেশের পণ্যের মূল্য প্রায় ৫ ভাগ কমতে পারে, ফলত বাংলাদেশিদের আয় বাড়বে এবং যাতায়াত অনেক সহজ হবে।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়