শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১৩ ১৪৩১
|| ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ২৩ আগস্ট ২০২২
সুইডেন প্রবাসী নেত্র নিউজের সম্পাদক ৩৯ বছর বয়সী তাসনিম খলিলের নামটি ব্যাপকভাবে আলোচনায় এসেছে। কেবল এই খলের খলামি নয়, তার সঙ্গে ডেভিড বার্গম্যান ও সামিউলসহ অন্য কুশীলবদের মুখোশ উন্মোচিত হচ্ছে ক্রমান্বয়ে।
ইতোমধ্যে লন্ডনে অবস্থানরত সাজাপ্রাপ্ত আসামি তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে এরা সবাই। অন্যদিকে দেশত্যাগের আগে তাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী নানা অপতৎপরতার কথাও প্রকাশ পাচ্ছে বিচিত্রসূত্রে।
স্বঘোষিত নাস্তিক ও বাংলা ভাষার প্রতি বিতশ্রদ্ধ তাসনিম খলিলকে বিশ্ব মিডিয়ায় দেখা গেছে আল জাজিরার মাধ্যমেই।
আসলে দেশবিরোধী এক ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্রকারীর নাম তাসনিম খলিল। বিভিন্ন সময় বিদেশি স্পাইয়ের কাছে দেশের স্বার্থসংক্রান্ত নথি বিক্রি করাই তার পেশা। এক যুগ ধরে বিদেশি বিভিন্ন সংস্থার যোগসাজশে বাংলাদেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করছে সে।
তার মূল কাজ হলো, প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করা ও সরকারবিরোধী মনোভাব তৈরিতে উসকানি দেওয়া। ২০০৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের ডেইলি স্টার পত্রিকায় চাকরিতে ছিল সে। কিন্তু বিভিন্ন উদ্দেশ্য ও পক্ষপাতমূলক সংবাদের কারণে ডেইলি স্টার থেকে তাকে পদচ্যুত করা হয়।
এরপর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সিএনএনে চাকরি করা অবস্থায় বিভিন্ন সময় বাংলাদেশবিরোধী বিভিন্ন ষড়যন্ত্রকারীর সঙ্গে তার সখ্য গড়ে ওঠে। পরে ভিনদেশিরা বিপুল পরিমাণ অর্থসহায়তার প্রলোভন দিলে তাসনিম বাংলাদেশের বিভিন্ন গোপন নথি দেশবিরোধী শক্তিকে সরবরাহ করে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর, দেশের মাটিতে গাদ্দার হিসেবে পরিচিত হলে ২০০৭ সালে দেশ ছেড়ে পালাতে হয় তাকে। ২০০৭ সাল থেকে এখন পর্যন্ত সে দেশের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করেই যাচ্ছে। সাংবাদিক নাম নিলেও সে আসলে প্রতারক।
সম্প্রতি প্রকাশিত বিভিন্ন তথ্যপ্রমাণ থেকে জানা গেছে, তাসনিম খলিলের বাবা খলিলুর রহমান কাসেমী বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর আওয়ামী লীগবিদ্বেষী বামপন্থীদের চরমপন্থী অংশের রাজনীতিতে যুক্ত হন।
২০১৯ থেকে নিজেকে বাবার মতোই সম্পাদক ঘোষণা করে একটি অনলাইন পত্রিকা ‘নেত্র নিউজ’ নামে প্রচার করে তাসনিম খলিল। নিউজ পোর্টাল নাম হলেও নিয়মিত কোনো সংবাদ এখানে প্রকাশিত হয় না। মূলত এজেন্ডাভিত্তিক প্রচারে ব্যবহৃত হয় পোর্টালটি।
এজেন্ডাভিত্তিক সাংবাদিকতায় নিয়োজিত তাসনিম আসলে জন্মভূমির প্রতি অকৃতজ্ঞ। এমনকি বাংলা ভাষা ভুলে যাওয়ায় গৌরব অনুভব করে সে।
তাসনিম খলিল বিভিন্ন অনলাইন টকশোতে নাস্তিকতা, সমকামিতার পক্ষে প্রচারণা চালানোর পাশাপাশি তীব্রভাবে সরকার বিরোধী অপপ্রচার চালায়।
২০০৭ সালের ৬ জুন স্বেচ্ছায় বাংলাদেশ ছেড়ে ইউরোপে চলে যাওয়া তাসনিম খলিলের টার্গেট বাংলাদেেেশর ক্ষতি করা।
বেশ কয়েক মাস আগে আল জাজিরায় প্রচারিত বিতর্কিত প্রতিবেদনের পক্ষে মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তাসনিম।
তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি-জামায়াত তথা জঙ্গিগোষ্ঠীর পক্ষে নৃত্য করছে সে। আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদে অঢেল অর্থদাতা আল জাজিরা মিডিয়ার সাজানো প্ল্যাটফর্মে বিতর্কিত তাসনিম খলিলের নাম অক্ষয় হয়ে আছে। দেশবাসীর কাছে তার জন্মের ঠিকানা অজানা। তার এজেন্ডাভিত্তিক সাংবাদিকতা কখনই সফল হওয়ার নয়।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়