রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||
জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১
|| ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ২৪ আগস্ট ২০২১
রাজশাহী বিভাগীয় প্রশাসনের আয়োজনে বিভাগীয় পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু-বঙ্গমাতা জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল র্টর্নামেন্ট বালক-বালিকার (অনূর্ধ্ব-১৭) উদ্বোধন করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) সকাল ১০ টায় মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিভাগীয় পর্যায়ে উদ্বোধন করেন বিভাগীয় কমিশনার ড মো. হুমায়ুন কবীর।
অনুষ্ঠানের শুরুতে সংক্ষিপ্ত পরিসরে এক আলোচনা সভা শেষে বেলুন ফেস্টুন উড়িয়ে বঙ্গবন্ধু বঙ্গমাতা জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের খেলা অনুষ্ঠিত হয়। পরে উদ্বোধনী দিনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ বনাম নওগাঁ মধ্যকার খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মো. জিয়াউল হক এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, রাজশাহী অতিরিক্ত ডিআইজি (অপারেশনস অ্যান্ড ক্রাইম) টি এম মোজাহেদুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল, আরএমপি পুলিশ কমিশনার মো আবু কালাম সিদ্দিক, বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি মো. ডাবলু সরকার, বিভাগীয় ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি মো. মাহফুজুল আলম লোটন, বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান হাবিব প্রমুখ।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব এর স্বরণে অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার ড মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলার মাধ্যমে অনূর্ধ্ব-১৭ বয়সি কিশোর-কিশোরীদের শারীরিক, মানসিক ও নান্দনিক বিকাশের জন্য প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সহিষ্ণুতা, মনোবল বৃদ্ধি ও খেলাধুলায় উৎসাহী করে গড়ে তোলা এবং ক্রীড়াচর্চায় উদ্বুদ্ধকরণ, মাদকাসক্তি, জঙ্গিবাদসহ সকল অসামাজিক কর্মকাণ্ড হতে বিরত রাখার লক্ষ্যে দেশব্যাপী উপজেলা, জেলা ও জাতীয় পর্যায়ে এ টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়েছে।
লেখাপড়ার পাশাপাশি ক্রীড়া এবং সংস্কৃতি চর্চা অপরিহার্য উল্লেখ করে বিভাগীয় কমিশনার ড মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘ এই ধরনের প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিশু-কিশোর এবং তরুণদের প্রতিভা বিকাশের সুযোগ পায়, তারা সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে পারে এবং মনও যথেষ্ট উদার হয়।
প্রতিটি বাঙালি ছেলে-মেয়েকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সবধরনের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে এবং সবচেয়ে বড় কথা হলো দেশের জন্য গৌরব বয়ে নিয়ে আসতে পারবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন স্পোর্টস ফ্যামিলির সদস্য উল্লেখ করে প্রধান অতিথি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, দাদা শেখ লুৎফর রহমান এবং ভাই শেখ কামাল ও শেখ জামাল খেলাধুলার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন।
তাই স্বাধীনতার পরপরই জাতির পিতা এই ক্রীড়াক্ষেত্রটাকে আরো প্রসারিত করার উদ্যোগ নেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি খেলাধুলার জন্য বিভিন্ন সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছেন।’
এরই অংশ হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রত্যেক জেলায় মিনি স্টেডিয়াম করে দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন, যাতে স্কুল-কলেজের লেখাপড়ায় কোন বিঘ্ন সৃষ্টি না হয়।
প্রাথমিক থেকে অনূর্ধ্ব ১৭ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু এবং বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজনের গ্রহণ করেছেন। ফলে ছোট থেকেই যারা খেলছে তারা আরো সুযোগ লাভ করবে এবং খেলাধুলার মধ্য দিয়েই চরিত্র গঠন, সুস্বাস্থ্যের অধিকারী এবং মেধা বিকাশের সুযোগ ঘটবে। এছাড়াও শেখ কামাল আবাহনী ক্লাব প্রতিষ্ঠা করে দেশের ক্লাব ফুটবলকে আধুনিক পর্যায়ে উন্নীত করা হয়।
এছাড়াও তিনি আরো জানান, ‘ফুটবল হচ্ছে সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা, তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশের ফুটবলকে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে কাজ করছেন। ক্রীড়াক্ষেত্রে আমরা যথেষ্ট অগ্রগতি লাভ করতে সক্ষম হয়েছি, এই অগ্রগতিকে আমাদের ধরে রাখতে হবে।
তাহলে আজকের ছেলে-মেয়েরাই আগামীতে বিশ্ব আসরে তাদের নিজস্ব আসন করে নিতে পারবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এবং খেলাধুলার মধ্য দিয়েই চরিত্র গঠন, সুস্বাস্থ্যের অধিকারী এবং মেধা বিকাশের সুযোগ ঘটবে বলে জানান বিভাগীয় কমিশনার ড মো. হুমায়ুন কবীর।’
উল্লেখ্য যে, বিভাগীয় পর্যায়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল র্টুনামেন্ট বালক ৯টি ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ননামেন্ট বালিকা ৯টি দল অংশগ্রহণ করবেন।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়