রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||
জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১
|| ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫
প্রকাশিত: ৭ নভেম্বর ২০১৮
যুব দিবসে যুব সমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘যুব সমাজের জন্য হাজার হাজার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। আমাদের সরকার যুবকদের উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করেছে। যে কোনো যুবক বিনা জামানতে ২ লাখ টাকা লোন পাচ্ছেন।‘
বৃহস্পতিবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে যুব দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুব সমাজের কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য আমাদের সরকার বিভিন্ন মেয়াদে ট্রেনিং দিচ্ছে। এ ট্রেনিং নিয়ে অনেকেই স্বাবলম্বী হয়েছেন। যুবকদের কথা চিন্তা করে সরকারি বিভিন্ন খাতের সঙ্গে বেসরকারি খাতকে উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, বেসরকারি খাতেও প্রচুর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হচ্ছে। যুব সমাজকে কাজে লাগানোর জন্য আমরা কর্মমুখী শিক্ষার ব্যবস্থা করেছি। হাজার হাজার ছেলে-মেয়ে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বের হয়ে সরাসরি চাকরিতে প্রবেশ করছে। কেউ কেউ সংশ্লিষ্ট বিষয়ের ওপর সার্টিফিকেট নিয়ে ব্যবসা করে খাচ্ছে। এভাবে অনেকে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে।
সরকারি খাতের বিশেষায়িত কর্মসংস্থান ব্যাংক বেকারদের জামানত ছাড়াইে এ ঋণ দিচ্ছে। বিশেষ করে বেকারদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে কৃষিভিত্তিক ও ক্ষুদ্রশিল্পে এই ঋণ দিচ্ছে। এ ছাড়া ব্যবসা করতেও তারা ঋণ দিচ্ছে। ঋণের সুদের হার ১১ থেকে ১৩ শতাংশ। কিস্তিতে ঋণ শোধ করতে হয়।
এছাড়া যারা বিশেষ সময়ে বেকার থাকেন বা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ব্যবসা বাড়িয়ে আরও নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে চান তাদেরও এই ব্যাংক ঋণ দিচ্ছে। বেশিরভাগ ঋণের ক্ষেত্রে কোনো জামানত নেওয়া হয় না। বেকারদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতার মূল সনদ ব্যক্তিগত গ্যারান্টি জামানত হিসেবে নেওয়া হয়। অন্যান্য ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত গ্যারান্টির পাশাপাশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত বিষয়গুলো জামানত হিসেবে নেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর দেশের বেকার সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে ১৯৯৮ সালে সরকারি মালিকানায় এই প্রতিষ্ঠানটি চালু করা হয়। সারাদেশে ব্যাংকের ১৫টি আঞ্চলিক কার্যালয় ও ২১২টি শাখা রয়েছে। প্রতিটি জেলা সদরে একটি করে মোট ৬৪টি প্রধান শাখাসহ ঢাকায় রয়েছে ৭টি শাখা। উপজেলা সদরে রয়েছে ১৪২টি শাখা। সকল শাখা থেকেই বেকারদের ঋণ দেওয়া হয়।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়