বুধবার ১৫ মে ২০২৪ ||
জ্যৈষ্ঠ ১ ১৪৩১
|| ০৭ জ্বিলকদ ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১ মে ২০২২
আজ রোববার (১ মে) সন্ধ্যায় চাঁদ দেখা না গেলে আগামী মঙ্গলবার (৩মে) মুসলমাদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হওয়ার বেশী সম্ভাবনা রয়েছে। এরই মধ্যে ব্যস্ত রাজশাহী নগরীর দৃশ্য পাল্টে গেছে। শহরের রাস্তায় নেই কোন যানজট, নেই কোন কোলাহল। পবিত্র ঈদুল ফিতরের জন্য সবাই বাড়ীর পানে ছুটে গেছে। ফলে এখন অনেকটায় ফাঁকা শিক্ষা নগরী হিসেবে পরিচিত রাজশাহী।
শহরটি মূলত পরিপূর্ণ হয়ে থাকে শিক্ষার্থীদের পদচারনায়। ইতো মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো ঈদের ছুটি দেওয়ায় শিক্ষার্থীরা আপনজনদের সাথে ঈদ উদযাপন করতে বাসায় ফিরে গেছে। মূলত গত বৃহস্পতিবার থেকেই শিক্ষার্থীরা শহর ছেড়ে গ্রামে চলে গেছে। সেদিন হতেই রাজশাহী নগরী ফাঁকা অবস্থা বিরাজমান করছে।
আজ রোববার সকাল হতে রাজশাহী নগরীর বিভিন্ন ব্যস্ততম মোড় গুলো প্রায় ফাঁকা দেখে গেছে। মাঝে মধ্যে অটোরিকশা, রিকশা, মোটরসাইকেল, সাইকেলে চড়ে লোকজন এক জায়গা হতে আরেক জায়গায় যেতে দেখা গেছে।
রাজশাহী নগরীর সাহেব বাজার, আরডিএ মার্কেট শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান চত্ত্বর (রেলগেট) নিউ মার্কেট, বর্ণালী মোড়, লক্ষিপুর মোড়, সিএনবি মোড়, কোর্ট বাজার, আলুপট্টি, ভদ্রাসহ বিভিন্ন এলাকায় ছোট যানবাহন মাঝে মধে চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে কোন ধরনের যানজট দেখা যায়নি।
তবে ঢাকা হতে ফেরত আসা যাত্রীদের নগরীল শিরোইল বাস টার্মিনালে মাঝে মধ্যে জটলা দেখা গেছে। কিছুক্ষণ পর তারা পুনরায় বিভিন্ন উপজেলায় লোকাল বাস, সিএনজি, অটোরিকশায় চেড়ে চলে যেতে দেখা গেছে।
অধিকাংশ মানুষ তাদের ঈদের কেনাকাটা সেরে ফেলায় তেমন ভাবে বাজারে ভীড় জমতে দেখা যাচ্ছে না। রাজশাহী স্থানীয় বাসিন্দা ও চাকরিজীবি যারা ঈদের ছুটিতে বাড়ী যাবে না তাদের কেনাকাটা করতে দেখা যাচ্ছে।
রাজশাহী শহর ফাঁকা হয়ে যাওয়ায় অটোরিকশা, রিকশা চালকদের আয় কমে গেছে। অটোরিকশা চালক হালিম জানান, শহর থেকে সব মানুষ চলে যাওয়ায় আমাদের ইনকাম কমে গেছে। শহরে শিক্ষার্থীরা থাকায় ভাড়া বেশী হতো তারা চলে যাওয়ায় এই অবস্থা হয়েছে।
অপর অটো চালক সামাদ বলেন, গরীব মানুষ সকালে গাড়ী নিয়ে বের হয়েছি। পেট থাকতে তো বাড়ীতে আর বসে থাকতে পারিনা। শহর হতে মানুষ জন ঈদ করতে বাড়ী চলে যাওয়ায় ইনকাম নেই । গাড়ী জমার টাকা উঠানো কষ্ট হয়ে যাবে বলে জনান।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়