শনিবার ১১ মে ২০২৪ ||
বৈশাখ ২৭ ১৪৩১
|| ০৩ জ্বিলকদ ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ৩০ মার্চ ২০২৩
পশ্চিম আকাশে সূর্যটা হেলে পড়তেই শুরু হয় ইফতারির প্রস্তুতি। কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হবে কাক্সিক্ষত ইফতার। এরই মধ্যে তোড়জোড় শুরু হয়ে গেছে ইফতার আয়োজনের। পত্রিকা বিছিয়ে মাঠের সবুজ চত্বরে ঘাসের উপর সবাই গোল হয়ে বসছেন দল বেধে। প্রতি বছরই মতিহার ক্যাম্পাসের বন্ধুদের আয়োজনে এই ইফতার পার্টি দেখা যায়।
আর এই ইফতার পার্টির জন্য বাঁছাই করে নেয়া হয় ক্যাম্পাসের বিশেষ বিশেষ স্থান। সাধারণত বিভিন্ন সংগঠন, একই ব্যাচের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী অথবা একই বিভাগের ছোট-বড় ভাই বোন মিলে এই ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয়। আত্মশুদ্ধির এই মাসে এ যেন এক অন্য রকম অনুভূতি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে প্রতিটি হলের সামনে ছোটখাটো ইফতারির দোকান বসে। আসরের পর পর সবাই ইফতারের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ কিনে আনে। ইফতারির মধ্যে থাকে মুড়ি, আলুর চপ, পিয়াজু, ডিমের চপ, জুস, বেগুনি, জিলাপি, শরবত, খেজুর, বুন্দিয়া, এবং নানা রকম ফলমূল। ঠিক এমনটি চিত্র দেখা যায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। প্রথম রোজা থেকে সবুজ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে ইফতার করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
শহিদ মিনার থেকে শুরু করে ক্যাম্পাসের কেন্দ্রীয় মসজিদের খোলা বারান্দায়, ছেলেদের হলের সামনের ফাঁকা জায়াগা, মেয়েদের হলের সামনে, হবিবুর মাঠ, শেখ রাসেল চত্বরের খোলা মাঠ, সাবাস বাংলার মাঠ, সিনেট ভবনের সিঁড়ি সহ ক্যাম্পাসের বিভন্ন ফাঁকা জায়গায় আসরের নামাজ পর পরই অনেকে ইফতারের পসরা সাজিয়ে বৃত্তাকার হয়ে বসেছে।
বন্ধুদের ডাকে শহিদ হবিবুর রহমান হলে আয়োজন করা হয়েছে ইফতার পার্টি। রোকেয়া হল থেকে বন্ধুদের সাথে ইফতারি করতে এসেছে মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ইফাত জাহান। ক্যাম্পাসে ইফতার করার অনুভূতি ব্যাক্ত করে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর থেকেই প্রতিবছর আমরা বন্ধুরা একসঙ্গে ইফতার করি। বিশ্ববিদ্যালয় জীবন প্রায় শেষ হতে চলল। এরপর এমন করে ইফতারি করা হবে কি না জানি না। বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শেষে বন্ধুরা মিলে ইফতার করার এই মুহূর্তটা খুব মিস করব।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়াদী হলের শিক্ষার্থী দেলোয়ার হোসেন হবিবুর মাঠে তার সংগঠনের কিছু ছোট ভাইদের সাথে ইফতার করতে এসে তিনি বলেন, খোলা মাঠে এলাকার ছোট ভাই বোনদের সাথে ইফতার করতে এসেছি। সবাই মিলে ভাগাভাগি করে ইফতারি করা যে আনন্দ, তা অন্য কোথায় পাওয়া যায় না।
নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আবু শাহীন বলেন, বেশিরভাগ রমজানে ইফতারি হয় হলের বন্ধু, বড় ও ছোট ভাইদের সঙ্গে। হলের সামনের খোলা মাঠ যেন সকলের মিলনমেলা। বড় থালায় ইফতার মাখিয়ে খাবার যে মজা, তা বলে বোঝানো যাবে না। সারাদিন রোজা রাখার পর সন্ধ্যাবেলা বিশ্ববিদ্যালয়ের খোলা মাঠে বসে ইফতার করার স্বাদটাই যেন ভিন্ন রকম।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়