বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ ||
জ্যৈষ্ঠ ২ ১৪৩১
|| ০৮ জ্বিলকদ ১৪৪৫
প্রকাশিত: ৯ নভেম্বর ২০১৮
মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমানোর জন্য কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে পালানোর করছে রোহিঙ্গারা। বুধবার দক্ষিণাঞ্চলীয় উপকূল থেকে রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশিদের বহনকারী একটি নৌকা আটক করেছে উপকূলীয় রক্ষীরা। মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন এড়াতে তারা মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমাচ্ছে বলে জানা গেছে। এছাড়া রাখাইন রাজ্য থেকেও কয়েকটি নৌকায় করে রোহিঙ্গারা মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছে।
রোহিঙ্গা নেতা, ত্রাণ কর্মী ও পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম রয়টার্স।
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার উপকূলীয় রক্ষীদের প্রধান ফয়েজুল মণ্ডল জানান, বুধবার বাংলাদশের দক্ষিণাঞ্চলীয় উপকূল থেকে রোহিঙ্গাদের বহনকারী একটি নৌকা মালয়েশিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলো। এসময় কর্মকর্তারা ওই মাছ ধরার নৌকা থেকে ৩৩ রোহিঙ্গা ও ছয় বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করেন।
এদিকে জাতিসংঘ উদ্বাস্তু সংস্থার এক মুখপাত্র জানান, মিয়ানমার থেকেও রোহিঙ্গাদের মালয়েশিয়ার উদ্দেশে রওয়ানা হওয়ার খবর এসেছে। তবে তারা কোন এলাকা থেকে যাত্রা শুরু করেছে সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেনি জাতিসংঘ।
মানবাধিকার সংস্থাগুলোর ধারণা, প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরুর তারিখ সামনে চলে আসায় মিয়ানমারের ফিরে যাওয়া থেকে বাঁচতে রোহিঙ্গারা পালাচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই জাতিসংঘ মুখপাত্র বলেন, ‘বর্ষা মৌসুমে শেষ হওয়ার পরে এ ধরনের নৌ অভিযাত্রার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পেয়েছে। কর্তৃপক্ষকে এই স্থানচ্যুতির মূল কারণগুলি খুঁজে বের করে তা মোকাবেলা করতে হবে। পাশাপাশি সকল সম্প্রদায়ের জন্য ক্রমবর্ধমান সামাজিক সমঝোতা ও অর্থনৈতিক সুযোগ তৈরি করতে হবে।’
এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি মিয়ানমার সরকারের মুখপাত্র। তবে রাখাইন রাজ্যের সরকারের উপ পরিচলক কাওয়া সাওয়া তুন জানান, তারা এরকম কোনো নৌ যাত্রার খবর পাননি।
গত বছর মিয়ানমারের সেনা অভিযানের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। তারা কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্পে বসবাস করছে।
বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের দেশে ফিরিয়ে নিতে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ২০১৭ সালের নভেম্বরে ‘অ্যারেঞ্জমেন্ট অন রিটার্ন অব ডিসপ্লেসড পার্সন্স ফ্রম রাখাইন স্টেট’নামে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার একটি প্রত্যাবাসন চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। ওই চুক্তির আওতায় এখন পর্যন্ত একজন রোহিঙ্গাকেও ফিরিয়ে নেয়নি মিয়ানমার। তবে চলতি মাসের মাঝামাঝিতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে বলে ঘোষণা দিয়েছে দুই দেশ।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়