মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১৬ ১৪৩১
|| ২১ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ৩১ জুলাই ২০২২
রাজশাহীর মুন্ডুমালা পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের পাঁচন্দর গ্রাম। এ গ্রামে সল্লাপাড়া ও কামাড়ে পাড়ার প্রায় দুইশ পরিবার মিলে রয়েছে একটি সমাজ। একই মসজিদে পড়তো নামাজও। সবাই মিলে মিশে এক সঙ্গে ছিল বসবাস।
এরই মধ্যে ২০২১ সালে জুন মাসে সামান্য একটুকু জায়গা-জমি নিয়ে দুই পরিবারে মধ্যে বাধে দ্বন্দ। দুই পরিবারের সে দ্বন্দ রুপ নেন গ্রামের ২০০ পরিবারে মাঝে। দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে গ্রামের লোকজন। এক পক্ষ অন্য পক্ষে মারামারি-কাটাকাটি বাড়ি ভাংচুর করলে অন্য পক্ষ নিজের জায়গা দিয়ে চলাচলের রাস্তা বেড়া দিয়ে আটকিয়ে দেন। একের পর এক শুরু হয় আদালতে মামলা। উভয় পক্ষ মামলা করে অতন্ত ৬টি।
সে গ্রামটির বিরোধ মিটাতে দফায় দফায় আসেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার,পুলিশ প্রসাশন, কাউন্সিলর ও স্থানীয় আ,লীগের নেতারাসহ বিভিন্ন শ্রেনীর পেশার মানুষ। এতো কিছুর পরও এক বছরের বেশি সময় ধরে গ্রামটি বিরোধ মিটাতে পারেনি কেউ।
অবশেষে মুন্ডুমালা পৌর মেয়র সাইদুর রহমানের উদ্যোগে গ্রামটির এক বছরের বেশি সময় চলা বিরোধ মিটিয়ে মামলা মুক্ত করলো গ্রামটি।
৩০ জুলাই শনিবার সকালে পৌর মেয়র সাইদুর রহমান নিজে সেই গ্রামে উপস্থিত হয়ে প্রায় দুইশ পরিবারকে একত্র করে তাদের প্রধান সমস্যা রাস্তার বেড়া খুলে উম্মক্ত করেন মেয়র নিজে। এ পরই উভয় পক্ষকে একমত হন যে গ্রামের সব মামলা বাদি নিজে নিজেই তুলে নিবেন এক মাসের মধ্যে। গ্রামের এ বিরোধ সমাধান করাই দুই পক্ষ খুশি পৌর মেয়রের উপড়ে। বিরোধ মিটানোই খুশি শুধু পাঁচন্দর গ্রামই নয়,পুরোই পৌর এলাকায় মেয়রের এমন উদ্যোগে প্রশংসিত হয়েছে।
গ্রামবাসি সুত্রে জানাগেছে,পাঁচন্দর সল্লাপাড়া মাসুদ রানা ও মনিরুজ্জামান মনি মধ্যে থেকে বিরোধের সৃষ্টি হয় ২০২১ সালে জুন মাসে। দুইজনের পক্ষে গ্রামে ২০০ পরিবার ভাগ হয়ে যাই। শুরু হয় মারামারি-হট্টগোল। গরুচুরি,বাড়ি ভাংচুর,ছিন্তাই ও ডিজিটাই আইনে মামলা করে এক পক্ষ অন্য পক্ষের বিরেুদ্ধে। নষ্ট হয়ে পড়ে গ্রামের পরিবেশ। অবশেষে সেই বিরোধের অবসান হওয়াই কুশি পুরো গ্রাম।
মুন্ডুমালা পৌর মেয়র সাইদুর রহমান বলেন,গ্রামটির বিরোধ অনেক দুর গড়িয়ে ছিল। আল্লাহর ইচ্ছাই গ্রামবাসি সহযোগিতায় সে বিরোধ মিটাতে পেরেছি। আমি চাই না পৌর এলাকায় কোন পরিবার মামলা-মোকাদ্দামায় জরিত হোক। কারণ একটি মামলাই শুধু একটি পরিবার নয়,পুরো গ্রাম ও সমাজকে ধংস করে দেয়।
মেয়র আরো বলেন,সেই গ্রামে ৬ টি মামলা করেছিল উভয় পক্ষ। গ্রামের একটি মাত্র চলাচলের রাস্তা টি একটি পক্ষ বেড়া দিয়ে আটকিয়ে রেখেছিল দীর্ঘদিন। সবগুলোই সমাধান করে উভয় পক্ষ হাতে হাত ধরে একত্র করে দেয়া হয়েছে। এখন থেকে উভয় পক্ষ মিলে মিশে গ্রামে বসবাস করবে বলে এক মত হয়েছে। সেই সঙ্গে মামলা মুক্ত হয়েছে গ্রামটি।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়