শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১২ ১৪৩১
|| ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৭ এপ্রিল ২০২০
রাজশাহীর মোহনপুরে শিক্ষকের সহযোগিতা ও সহপাঠির উত্ত্যক্তের কারণে হিন্দু স্কুলছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন। মোহনপুর থানার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছেন।
নিহত স্কুলছাত্রীর বড় ভাই বাদি হয়ে উত্ত্যক্তকারী সহপাঠি ও সহযোগী স্কুল শিক্ষকসহ ৭ জনকে আসামি করে মোহনপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মোহনপুর থানার পুলিশ বৃহস্পতিবার ৪ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। রাজশাহী জেলা পুলিশের উধ্বর্তন কর্মকর্তারা মোহনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাক আহম্মেদকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
মোহনপুর থানা পুলিশ ও এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের কথা বলে জানা গেছে, স্কুলছাত্রী ছিল হিন্দু পরিবারের মেয়ে। তার সহপাঠি উত্ত্যক্তকারী গোলাম মোস্তফা ছিল মুসমান। তারা দু’জন উপজেলা ঘাসিগ্রাম নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল। নিহত স্কুলছাত্রী ঘাসিগ্রামের নিমাই সরকারে মেয়ে কুমারি অষ্টমী। সহপাঠি বাজেদেওপুর গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে গোলাম মোস্তফা। প্রায় দেড় বছর ধরে সহপাঠি গোলাম মোস্তফা স্কুলছাত্রী কুমারি অষ্টমীকে প্রেম নিবেদন করে আসছিল।
গত ২০১৯ সালে ১১ নভেম্বর প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় গোলাম মোস্তফা তার লোকজন নিয়ে স্কুলছাত্রী কুমারি অষ্টমীকে অপরহণ করে। ওইদিন সন্ধ্যার সময় মোহনপুর থানায় পুলিশ স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার ও অপহরণকারী গোলাম মোস্তফাকে গ্রেপ্তার করে জেল-হাজতে প্রেরণ করে। আদালতের থেকে জামিনে বের হয়ে আসার পর আবারও স্কুলছাত্রীকে মোবাইল ফোনে উত্ত্যক্ত করতে থাকে। উত্ত্যক্তকারী গোলাম মোস্তফাকে পুরোদমে সহযোগিতা করতেন ঘাসিগ্রাম নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক শরিরত আলী। গত বুধবার রাতে রুমের ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করে যে কোন সময় স্কুলছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
নিহত স্কুলছাত্রীর ভাবি ইতি কুমারি জানান, বৃহস্পতিবার সকালে তার ননদকে অনেক বার ডাকাডাকির পর কোন সাড়া না পেয়ে অন্য রুমের তালা দিয়ে দেখতে পান গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
পরে মোহনপুর থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।
এদিকে মামলার ৭ জন আসামির মধ্যে ৪ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এরা হচ্ছেন ওই স্কুলছাত্রীর স্কুলের সহকারি শিক্ষক শরিরত আলী (৪০), ঘাসিগ্রামের দুলাল হোসেন (৪৫), তার স্ত্রী রুবিনা বেগম (৩৫) ও ইউপি সদস্য ওমর আলী (৪৬)।
মোহনপুর থানার ওসি মোস্তাক আহম্মেদ জানান, মামলার ৭ জন আসামির মধ্যে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদেরকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
স/সা
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়