শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১৩ ১৪৩১
|| ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৫ এপ্রিল ২০২২
রাজশাহীর মোহনপুরে শ্রমিক সংকটের মধ্য দিয়ে বোরোধান কাটা মাড়ায় শুরু হয়েছে। বৈশাখী ঝড় বৃষ্টিতে ফসহানির আশঙ্কায় অধিক মজুরিতেও মাঠ থেকে ফসল ঘরে তুলতে মরিয়া কৃষকরা। তবে ইদের পরেই পুরোদমে ধানকাটা চলবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজশাহী অঞ্চলের ছোট আয়তনের একটি উপজেলা হিসেবে পরিচিত মোহনপুর। ফসল উৎপাদনের দিক থেকে এটি প্রসিদ্ধ উপজেলা।
ধান, পান ও আলু এখানকার প্রধান ফসল। এসবের মধ্যে সর্বাধিক বোরো ধানের চাষ হয়ে থাকে। এখানে চলতি মৌসুমে প্রায় সাড়ে ৮ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
চলতি মৌসুমে চাষকৃত ধানের মধ্যে রয়েছে-ব্রিধান ১, ব্রিধান ২, ব্রিধান ৩, ব্রিধান ৫, ব্রি৯২, ব্রি৯৬, বঙ্গবন্ধু১০০সহ বিভিন্ন জাতের হাইব্রিড ধান।
এলাকা ভিত্তিক জমির রকম ভেদে কয়েক সপ্তাহ কম বেশি সময়ের ব্যবধানে বোরোধান রোপন করা হয়ে থাকে। এজন্য আগাম জাত এবং আগাম রোপনকৃত বোরো ধান ইতোমধ্যে কাটা মাড়াই শুরু হয়েছে। প্রতি বছর উজানি ঢলে তলিয়ে যায় মোহনপুর উপজেলার বিলকুমারী বিলসহ শিব নদীর বুকে রোপনকৃত বোরো ধান।
ক্ষয়ক্ষতি রোধে স্থানীয় কৃষকরা এবার আগাম চাষের মাধ্যমে আগাম ফসল ঘরে তুলতে শুরু করেছে। দুই সপ্তা সুযোগ পেলেই স্থান দুটির সম্পূর্ণ ধান ঘরে উঠাতে পারবে বলে জানিয়েছে কৃষকরা।
বেলনা গ্রামের কৃষক মাহাবুল ইসলাম জানিয়েছেন বিলকুমারী বিলে বোরো চাষ করে ঘরে তোলার কোনো রকম ভরসা থাকেনা। এক দিনের উজানি ঢলে তলিয়ে যায় ধান। এবছর এখন পর্যন্ত পানি আসেনি এজন্য দ্রুত ধান তুলতে আমরা চরম ব্যস্ত রয়েছি। এখানে কয়েক দিনের ব্যবধানে শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে।
প্রতি জন শ্রমিকে মজুরি সাড়ে ৪শ টাকা থেকে বেড়ে দাড়িয়েছে সাড় ৬শ টাকা পর্যন্ত। বৃষ্টি নামলে মজুরি আরো বাড়বে। তাতেও সমস্য নাই। যেকোন মুল্যে ধান ঘরে ধান ঘরে তুলতে চাই।
শহিদুল ইসলাম নামের অপর এক কৃষক বলেন, শ্রমিকের মজুরি যাই হোক ধান ঘরে তুলতে চাই। ধান ও খড়ের দাম ভাল আছে এতে পুশিয়ে যাবে।
শিব নদীতে ধান চাষ করা কেশরহাট পৌর এলাকার কৃষক আফজাল হোসেন বলেন, ধান ঘরে তোলা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় ছিলাম। গত শনিবার ধান উঠানে তুলে নিয়েছি। আশানারুপ ফলন হবে বলে মনে করেন তিনি।
মোহনপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রহিমা খাতুন বলেন, নিচু স্থানের কিছু জমির আগাম ধান কাটা মাড়ায় শুরু হয়েছে। আগামি দুই সপ্তাহের মধ্যে পুরোপুরি ধানকাটা শুরু হতে পারে। তবে ভাল ফলনের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন তিনি।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়