শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১৩ ১৪৩১
|| ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২১ এপ্রিল ২০২২
রাজশাহীর মোহনপুরে আধুনিকতার ছোঁয়াই ত্বীন ফলের চাষ শুরু হয়েছে। সখের বসে অনেকেই ত্বীনের চাষ শুরু করেন। গ্রামাঞ্চলের সৌখিন মানুষরা ত্বীন চাষে ঝুঁকছেন।
সম্প্রতি একজন কলেজ অধ্যক্ষের উপদেশ ও সহযোগিতায় বানিজ্যিকভাবে ত্বীন ফলের বাগান গড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন কেশরহাট পৌর এলাকার ফল ব্যবসায়ি আলমগীর হোসেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, আলমগীর হোসেন মুলত একজন ফল ব্যবসায়ি। তিনি দেশের বিভিন্ন জেলা হতে রকমারি ফল আমদানী করে মোহনপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে রপ্তানি করে থাকেন। এরই ফাঁকে আকর্ষনীয় বিভিন্ন ধরণের নতুন নতুন ফলের সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি করতেন।
এরই ধারাবাহিকতায় বছর খানেক আগে তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলা হতে ত্বীন ফলের চারা সংগ্রহ করে সাড়ে ৯ কাঠা জমিতে নার্সারী স্থাপন করেন। সেখানে সুন্দরভাবে বেড়ে উঠেছে দ্বীনগাছ।
প্রতিটিপাতার কণায় ধরেছে আছে ত্বীন। অনেক মানুষ ত্বীন ফলের সন্ধান পেয়ে চারা কেনার জন্য ছুটে আসেন আলমগীর হোসেনের ত্বীন বাগানে। এজন্য অতিরিক্ত চাহিদা পুরণের জোগান দিতে তিনি প্রায় আরো ১০ কাটা জমির উপর চারা বিক্রয়কেন্দ্র গড়ে তুলেছেন।
অল্প দিনের মধ্যে জনপ্রিয়তা অর্জন এবং ত্বীন ফলের চাষ সম্পর্কে আলমগীর বলেন, কেশরহাট টেকনিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ এজাহারুল হক স্যার আমাকে শুরুর দিক থেকে উৎসাহ জুগিয়েছেন। তিনি নিজের জমি দিয়ে নার্সারী করার সুযোগ করে না দিলে আমার এ স্বপ্ন হয়তো পুরণ হত না।
গতকাল বুধবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে ত্বীন ফলের গাছ দেখতে আসা মোহনপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর রুস্তম আলী প্রামাণিক বলেন, ত্বীন একটি জান্নাতি ফল। পবিত্র কোরআনে এ ফলের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
আমরা আগে কোনো দিন ত্বীন ফল দেখিনি এজন্য নতুন দেখছি হিসেবে চারা কিনতে আগ্রহী। প্রতিটি চারা বিক্রি করা হচ্ছে সাড়ে ৪শ টাকা হতে ১২শ টাকায়।
মোহনপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার হিমা খাতুন বলেন, মোহনপুরে ত্বীন নামের ফলের চাষ শুরু হয়েছে। তবে পরিমাণ অনেকটায় সীমিত।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়