শনিবার ১৮ মে ২০২৪ ||
জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১
|| ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৩ নভেম্বর ২০২৩
রাজশাহীতে এবারো লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে রোপা আমনের আবাদ হয়েছে। ফলনও রয়েছে ভালো। প্রত্যাশিত ফলনের প্রত্যাশা নিয়েই উৎসবমুখর আবহে ধান কাটা-মাড়াই চলছে। কর্মচঞ্চল ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা।
রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, রাজশাহী জেলার ৯ টি উপজেলায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রোপা আমনের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৮১ হাজার ৭৫৯ হেক্টর জমি। কিন্তু আবাদ হয়েছে ৮৩ হাজার ১৭৭ হেক্টর। যেখানে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ৯১ হাজার ৬২ মেট্রিক টন।
২০২২-২৩ অর্থবছরে রোপা আমনের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৮০ হাজার ৫০ হেক্টর। কিন্তু চাষ হয়েছিলো ৮০ হাজার ৮৩২ হেক্টর। যেখানে উৎপাদন ছিলো ২ লাখ ৮৬ হাজার ১৪৫ মেট্রিক টন। প্রতিবছরের ন্যায় এবারো আবাদের সঙ্গে সঙ্গে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রাও ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করছে কৃষি বিভাগ।
উপজেলাগুলো ঘুরে দেখা যায়, উৎসবমুখর পরিবেশে ধান কাটা মাড়াই চলছে। রোপা আমন ঘরে তুলতে গেরস্থ বাড়ির উঠানে চলছে ব্যস্ততা। কেউ বা নিচ্ছেন প্রস্তুতি।
কৃষকদের ভাষ্যমতে, এবার রোপা আমন চাষে তেমন বেগ পেতে হয়নি। কয়েকটি উপজেলায় কয়েকদিন ধান পানির নিচে থাকায় ডুবে থাকা জমির ধানের ফলন কম হয়েছে। তবে অন্য জমির ধান খুবই ভালো হয়েছে। পোকা-মাকড়ের আক্রমণও কম ছিল। ফসল নষ্টকারী ইঁদুরের আক্রমণ ছিল শঙ্কার চেয়ে কম। সবমিলিয়ে এখন পর্যন্ত অনুকূল আবহাওয়া পাওয়া গেছে।
চাষিরা বলছেন, ফলন বেশি হলে দাম কমে যায়। এটা কৃষকদের জন্য দুর্ভোগের। তবে এবার প্রথম থেকেই ধানের দাম ভালো পাচ্ছেন। আশা করছেন, সামনে ধানের বাজার খুব একটা কমবে না।
পবা উপজেলার কৃষক আশিকুর রহমান আশিক বলেন, আমার ক্ষেতের ধান খুবই ভালো হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যেই ধান কাটবো। প্রায় আড়াই বিঘা জমিতে আবাদ করেছিলাম। এখন পর্যন্ত ধানের কোন ক্ষয়ক্ষতি হয় নি। প্রতি বিঘায় ২২ মণের উপরে ফলন হবে বলে আশা করছি।
পবা উপজেলার কৃষক আব্দুস সাত্তার বলেন, ধান ভালো ছিলো। কিন্তু মধ্যে হঠাৎ বন্যায় ধান ডুবে ছিলো। এ কারণে ধানের চেয়ে চিটা বেশি হয়েছে। ফলন কম হয়েছে। তবে ধানের দাম ভালো আছে। ক্ষতিটা দামে পুষিয়ে যাবে বলে আশা করছি।
রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফদরের উপ পরিচালক মো. মোজদার হোসেন জানান, এখন পর্যন্ত ১০ শতাংশের উপরে রোপা আমন ধান কাটা হয়েছে। চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এবার রোপা আমন চাষ বেশি হয়েছে। হঠাৎ বন্যায় কিছু কৃষকের ফলন কম হতে পারে। তবে সে সংখ্যাটা খুবই নগণ্য। এবার লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে আবাদ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে এবারো উৎপাদন হবে বলে জানান তিনি।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়