মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১৬ ১৪৩১
|| ২১ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৯ জুলাই ২০২৩
রাজশাহীর মনোরম পদ্মা নদীর পাড়ঘেষা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্ক নির্মানের চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। বেকারদের কর্মসংস্থানের জন্যএই হাইটেক পার্কে প্রায় ১৪ হাজার নারী-পুরুষের কর্মসংস্থান হবে।
প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলী ফজলুল হক জানান, এলাকাভিত্তিক উন্নয়ন নিশ্চিতের মাধ্যমে জ্ঞানভিত্তিক তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রায় ৩৩৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা ব্যয়ে পদ্মা নদীর তীরে রাজশাহী মহানগর সংলগ্ন নবীনগর এলাকায় প্রায় ৩১ একর জমির ওপর পার্কটি নির্মাণ করা হয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে- ভূমি উন্নয়ন, ২ লাখ ৭০ হাজার বর্গফুট আয়তনের দশ তলা সিলিকন টাওয়ার, একটি সাবস্টেশন ভবন, অভ্যন্তরীণ রাস্তা ও ড্রেন, সীমানা প্রাচীর এবং উচ্চ গতিসম্পন্ন ইন্টারনেট। ৬২ হাজার বর্গফুটের আইটি ইনকিউবেশন সেন্টারে একটি অত্যাধুনিক অফিস ভবনসহ বহুমুখী প্রশিক্ষণ সুবিধা, উচ্চ-মানের স্টার্ট আপ, বৃষ্টির পানি সংগ্রহ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎসের ব্যবস্থা রয়েছে।
এ পর্যন্ত পার্কের গড়ে ৮৮ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। পার্কে দুটি অংশ রয়েছে- শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন বিল্ডিং ও সজীব ওয়াজেদ জয় সিলিকন টাওয়ার। শেখ কামাল আইটি ইনকিউবেশন অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারের নির্মাণ কাজ প্রায় দুই বছর আগে শেষ হয়েছে এবং জয় সিলিকন টাওয়ার এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
এখন পর্যন্ত ১০টি কোম্পানি এবং জয় সিলিকন টাওয়ারে সাতটি প্রতিষ্ঠানকে স্থান বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। পার্কটি যুবদের কর্মসংস্থানের হাবে পরিণত হয়েছে এবং তরুণ প্রজন্মের মধ্যে উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে। সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, বিখ্যাত কোম্পানির সাইট রক্ষণাবেক্ষণ, বিদেশ থেকে চাহিদা অনুযায়ি ফাইলের কাজ, পার্কে কর্ম পরিবেশ তৈরিসহ বিভিন্ন কাজে বর্তমানে প্রায় ৪০০ যুবক নিয়োজিত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
ফ্লিট বাংলাদেশে কর্মরত আফরোজা আরবি তুসি বলেন, বঙ্গবন্ধু হাই-টেক পার্ক তার জন্য আশীর্বাদ হয়ে উঠেছে, কারণ এটি আইটি সেক্টরে আগ্রহী অনেক যুবকের ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ সৃষ্টি করেছে।
এদিকে, গত ১৪ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্কে ১৭২ আসনের স্টার সিনেফ্লেক্স চালু হয়েছে। সিনেপ্লেক্সে একটি অডিটোরিয়ামের পাশাপাশি দেশ-বিদেশের বিনিয়োগকারীদের ভিডিও ডকুমেন্টারি দেখানোর ব্যবস্থা রয়েছে।
এছাড়া সিলিকন টাওয়ারে দুটি বেজমেন্ট পার্কিং ফ্লোর, উচ্চমানের প্রশিক্ষণ, সেমিনার ও কনফারেন্স রুম, ভাড়া দেওয়ার জন্য অফিস স্পেস, একটি লাউঞ্জ ও বিনোদন এরিয়াসহ বহুমুখী সুবিধা থাকবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখানে দেশ-বিদেশের বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার জন্য সব ধরনের ব্যবসার পরিবেশ নিশ্চিত করা হয়েছে। সামগ্রিকভাবে পার্কটি দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার মাধ্যমে ব্যবসার পরিবেশ সৃষ্টির পাশাপাশি রাজশাহীতে একটি জ্ঞানভিত্তিক আইটি শিল্প প্রতিষ্ঠায় প্রকৃত অবদান ও অর্থীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়