শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১২ ১৪৩১
|| ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ২৯ নভেম্বর ২০২২
শীত এলেই বাঙালির মনে আসে শীতের পিঠার কথা। পিঠা ছাড়া যেনো বাংলার শীত পরিপূর্ণ হয় না। পিঠা খাওয়ার রীতি বাংলার সংস্কৃতির অংশ। শীতের আগমন জানিয়ে প্রতি বছরের মত এবারও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) রোকেয়া হলের সামনে পড়েছে পিঠার বিক্রির ধুম। সন্ধ্যা নামার আগ থেকেই সেখানে দেখা যায়, পিঠা খেতে শিক্ষার্থীদের উপচেপড়া ভিড়।
গত সোমবার (২৮ নভেম্বর) সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল স্কুল মাঠ, খালেদা জিয়া হল এবং রোকেয়া হলের সামনে পিঠার দোকান বসেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি জমে উঠেছে রোকেয়া হলের সামনের দোকান।
কথায় আছে ‘শীতের পিঠা, খেতে ভারি মিঠা’। তাই শীত এলেই এক শ্রেণীর মানুষ ভিড় জমায় পিঠার দোকানে। দোকানে পাওয়া যায় তিন রকমের পিঠা; ভাপা পিঠা, তেলের পিঠা ও চিতই পিঠা। বিকাল হলেই পিঠার দোকানের আশপাশে বসে ছোট ছোট আড্ডার আসর। বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত আড্ডার আসর গুলো দেখা যায়।
পিঠা আড্ডায় দেখা যায়, অনেকগুলো চুলায় একসঙ্গে পিঠা তৈরি হচ্ছে। চালের আটা দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে চিতই পিঠা। সিদ্ধ চালের সাথে চেরি, খেজুরের গুড়, নারিকেল, কিসমিস এবং বাদাম দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে ভাপা পিঠা। গরম-গরম তেলে ভেঁজে তৈরি হচ্ছে তেল পিঠা এবং গরম গরম পিঠা শিক্ষার্থীদের আড্ডার আসরে পৌঁছে দিচ্ছেন দোকানের কর্মচারীরা। চিতই পিঠার সাথে সাত রকমের ভর্তা তৈরি করে প্লেটে সাজিয়ে দিচ্ছেন তারা। ভর্তাগুলো হচ্ছে চিংড়ি ও মাছের শুঁটকি, বেগুন, কাঁচামরিচ, ধনিয়া পাতা, কালিজিরা ভর্তা। পিঠার সঙ্গে সঙ্গে ভর্তার প্লেটও চলে যাচ্ছে আড্ডাস্থলে।তবে পিঠার দাম নিয়ে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ।
চিতই পিঠা আগে পাঁচ টাকায় বিক্রি হলেও এখন আট টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভাপা পিঠা ১০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তেলের পিঠাও চড়া দামে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা, আগে ১০ থেকে ১৫ টাকায় বিক্রি হলেও এখন তা ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আশেপাশের অত্র এলাকা থেকে পিঠা খেতে আসা শাকিলা পারভিন বলেন, “শুনলাম ভার্সিটিতে পিঠার মেলা বসেছে, তাই ভাই-বোনদের নিয়ে পিঠা খেতে চলে আসলাম। পিঠার দাম একটু বেশি কিন্তু ওরাও কি করবে সব কিছুরই তো দাম বেশি, তবে পিঠার আরো আইটেম বাড়ানো উচিত ছিল।” মানসম্মত ও স্বাস্থ্যসম্মত বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করলে উনি আরো বলেন, “তৈরি হয়ে যাচ্ছে, বিক্রিও হয়ে যাচ্ছে,মানুষও খাচ্ছে আসলে এত কিছু ভাবলে বাইরে খাওয়া যাবে না।”
একাউন্টটিং বিভাগের শিক্ষার্থী মিসকাত রহমান বলেন, “ক্যাম্পাসের মাঠে দোকান হওয়ায় তাদের কোনো ভাড়া দিতে হচ্ছে না। তবুও চড়া দাম রাখছে কেনো, সেটা আমার বোধগম্য না। বাইরের তুলনায় এখানে প্রতি পিঠায় রাখা হচ্ছে অতিরিক্ত দাম।”
অভিযোগের বিষয়ে পিঠা বিক্রেতা বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় সবকিছুর দাম বেড়েছে। তাই পিঠার দাম আগের থেকে কিছুটা বেড়েছে। পিঠার মধ্যে বিভিন্ন উপাদান দেওয়ায় তাদের খরচ বেশি হচ্ছে। তাছাড়া লাকড়ির দাম অনেকাংশে বেড়েছে যার কারণে সবরকম পিঠায় আগের থেকে দাম বাড়ানো হয়েছে।
খাবারের মানের বিষয়ে বিক্রেতা বলেন, আমরা চাই শিক্ষার্থীদের মানসম্মত পিঠা খাওয়াতে। মাঝে মাঝে খারাপ হয়ে যায় তবুও চেষ্টা করি ভালো করতে।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়