মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ ||
বৈশাখ ৩০ ১৪৩১
|| ০৬ জ্বিলকদ ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ৪ মে ২০২২
রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে ক্লান্ত-পরিশ্রান্ত মানুষকে খেজুর আর শরবত পান করান পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) অসীম কুমার তালুকদার।
দীর্ঘ সময় লাইন ধরে শুয়ে-বসে সময় কাটিয়েছেন ট্রেনের টিকিট প্রত্যাশীরা। রাতে ঘুমানোও হয়নি। সকালে টিকিট বিক্রি শুরু হলে আবার সবাই উঠে দাঁড়িয়েছেন। রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে ক্লান্ত-পরিশ্রান্ত এসব মানুষকে খেজুর আর শরবত পান করানো হয়েছে।
আজ বুধবার সকাল ৯টায় পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) অসীম কুমার তালুকদার এই খেজুর ও শরবতের ব্যবস্থা করেন। রেলওয়ের কর্মীরা যাত্রীদের হাতে হাতে তুলে দিচ্ছিলেন শরবত ও খেজুর। শরবত পান করা হলে টিকিট প্রত্যাশীদের কাছ থেকে প্লাস্টিকের ওয়ান টাইম গ্লাসটি নিজেই সংগ্রহ করছিলেন পশ্চিম রেলের জিএম অসীম কুমার তালুকদার।
খেজুর ও শরবত পান করে মিজানুর রহমান নামে এক টিকিট প্রত্যাশী জানালেন, যাঁরা লাইনে দাঁড়িয়েছেন তাঁদের বেশির ভাগই চাঁদরাত থেকে লাইন ধরেছেন। দুটি রাত এবং ঈদের দিন কেটে গেছে স্টেশনে। এই সকালে খেজুর ও শরবত পান করে ভালো লাগছে।
টিকিট পেয়ে আবু সুফিয়ান নামের এক ব্যক্তি জানালেন, তিনিও লাইনে দাঁড়িয়েছেন চাঁদরাতে। তবে সব সময় তিনি স্টেশনে ছিলেন না। তারা পাঁচজন মিলে লাইনের একটি সিরিয়াল ধরে ছিলেন। তিনজনকে বাড়ি পাঠিয়ে বাকি দুজন স্টেশনে ছিলেন। ওই তিনজনের লাইনে তখন টুল বা কাগজের কার্টুন রাখা হয়েছিল। অন্য দুজন এসব পাহারা দিয়েছেন। এভাবে পালা করে তারা লাইন ধরে রেখেছিলেন। শেষ পর্যন্ত টিকিট পেয়েছেন। টিকিট পাওয়ার আগে পেয়েছেন খেজুর ও শরবত।
আবদুল হক নামের এক ব্যক্তি জানালেন, তিনিও পালা করে লাইনে দাঁড়িয়েছেন ঈদের দিন সকাল থেকে। গতরাতে স্টেশনেই ছিলেন। একটুও ঘুম হয়নি। খুবই ক্লান্ত। এ অবস্থায় টিকিট প্রত্যাশীদের খেজুর ও শরবত খেতে দেওয়ায় রেলওয়ের প্রশংসা করেন তিনি।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার বলেন, ‘টিকিটের জন্য যাত্রী বা তার স্বজনেরা দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে ক্লান্ত-পরিশ্রান্ত। তাদের খেজুর ও শরবত দিয়ে সামান্য আপ্যায়ন করা হয়েছে। এর আগেও এভাবে টিকিট প্রত্যাশীদের খেজুর ও শরবত খেতে দেওয়া হয়েছে।’
বুধবার রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন থেকে আগামী ৭ ও ৮ এপ্রিলের রাজশাহী-ঢাকা রুটের সবগুলো ট্রেনের আগাম টিকিট দেওয়া হচ্ছিল। এ ছাড়া ৬ এপ্রিলের শুধু বিরতিহীন বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনেরও টিকিট দেওয়া হচ্ছিল। ঈদের পর ঢাকায় ফিরতি এসব ট্রেনের টিকিট নিতে স্টেশনে এখন টিকিট প্রত্যাশীদের প্রচণ্ড ভিড়।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়