শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ ||
জ্যৈষ্ঠ ৩ ১৪৩১
|| ০৯ জ্বিলকদ ১৪৪৫
প্রকাশিত: ৯ নভেম্বর ২০১৮
রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের বিএনপি নেতা-কর্মীরা নিস্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন। পালিত হয়না দলের কোনো কর্মসুচিও। এতে করে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে দলটির সাংগঠনিক কার্যক্রমে। দলীয় লবিং-গ্রুপিং ও কোন্দলের কারনে গত সাড়ে ১০ বছর ধরে একই অবস্থা বিরাজ করছে। এ কারনে বিএনপির তৃণমুল কর্মীরাও নাখোশ দলের শীর্ষ নেতাদের উপরে।
জানাগেছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে আত্মগোপনে যাওয়া সাবেক এমপি নাদিম মোস্তফার অবর্তমানে এ আসনে দলের হাল ধরতে মাঠে নামেন পুঠিয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম। এরপর ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির পক্ষ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয় নজরুল ইসলামকে। সে সময় নাদিম মোস্তফাপন্থি নেতাকর্মীদের মধ্যে মতানৈক্য দেখা দেয়।
নজরুলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, নির্বাচনে নাদিম মোস্তফা গ্রুপ কোনো সহযোগিতা না করায় পরাজিত হন নজরুল ইসলাম। এরপর থেকে দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। চলতে থাকে পাল্টাপাল্টি সভা-সমাবেশও। নজরুল ইসলামের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আবু সাঈদ চাঁদ পুঠিয়া-দুর্গাপুরে গিয়ে নাদিম বিরোধী সভা-সমাবেশে অংশ নিতে থাকেন।
একপর্যায়ে দুই গ্রুপ পাল্টাপাল্টি কমিটিও গঠন করে। কিন্তু নাদিম মোস্তফা পরবর্তিতে আত্মগোপন থেকে বেরিয়ে এসে আদালতে আত্মসমর্পন করেন। কারাগার থেকে জামিনে ছাড়া পাওয়ার পর ফের সক্রিয় হয়ে উঠেন তার গ্রুপের নেতা-কর্মীরা। এক পর্যায়ে ক্রমেই কোণঠাসা হয়ে পড়তে থাকে নজরুল গ্রুপের নেতা-কর্মীরা। নাদিম নজরুলের অস্তিত্বের লড়াইয়ের যাঁতাকলে পিষ্ঠ হতে থাকা পুঠিয়া-দুর্গাপুরের বিএনপির তৃণমুল নেতাকর্মীরা ধীরে ধীরে নিস্ক্রিয় হতে থাকেন।
অভিযোগ উঠে, নাদিম মোস্তফার একক স্বেচ্ছাচারিতার কারণে এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমল থেকে নির্বাচনী এলাকায় যেতে না পারার কারণে দলের তৃনমূলের নেতা-কর্মীরাও ক্রমেই আগ্রহ হারাতে থাকেন তার প্রতি।
অপরদিকে নজরুল ইসলামের শক্ত কোনো ভীত না থাকায় সেই গ্রুপটিও মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে ব্যর্থ হয়। দুর্গাপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান মন্টু, পুঠিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার ইসলাম জুম্মা নজরুল ইসলামের পাশে থাকলেও তারাও দলের নেতা-কর্মীদের নিজেদের পক্ষে টানতে ব্যর্থ হন।
বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম বলেন, দলের একচ্ছত্র প্রভাব বিস্তার করতে গিয়ে নাদিম মোস্তফা পুঠিয়া-দুর্গাপুরে দলের অবস্থানকে ডুবিয়েছেন। এখান থেকে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের সংগঠিত করার চেষ্টা করছি। কিন্তু নাদিম মোস্তফা আবারও নেতা-কর্মীদের মধ্যে বিভেদ তৈরী করে দিয়েছেন। এই কারণে দলের নেতা-কর্মীদের মাঝে স্থবিরতা নেমে এসেছে।
যোগাযোগ করা হলে নাদিম মোস্তফার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। তবে তার ঘনিষ্ট এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, নজরুল গ্রুপের কয়েকজন নেতা-কর্মী পুঠিয়া-দুর্গাপুরে বিএনপির শক্ত অবস্থানকে কিছুটা হলেও খারাপের দিকে নিয়ে গেছে। এ জন্য নজরুল ইসলামই দায়ী নিজস্ব প্রতিবেদক, দুর্গাপুর
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়