শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১৩ ১৪৩১
|| ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২১ মার্চ ২০২০
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একজন নার্সকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে। ঢাকা থেকে বাসে রাজশাহী ফেরার সময় তিনি ইতালি ফেরত এক প্রবাসীর পাশের সিটে বসেছিলেন। বাড়ি ফিরেই জ্বরে আক্রান্ত হন। এ জন্য তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এনিয়ে রাজশাহীতে ৬৫ জন হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন।
রামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস জানান, করোনা সন্দেহে তাকে রাজশাহী সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে পাঠানো হয়েছিলো। পরে তিনি নিজের ইচ্ছায় বাড়িতে ‘হোমকোয়ারেন্টিনে’ চলে যান। রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইসিডিআর) হটলাইন নম্বরে ফোন করে বলে দেয়া হয়েছে। এখন তারাই রোগীর সঙ্গে যোগাযোগ করবে। তিনি আরো জানান, রাজশাহীতে পরীক্ষার জন্য কিট আনতে পাঠানো হয়েছে। বিকেলের মধ্যে কিট চলে আসতে পারে। এলে রাজশাহীতেই পরীক্ষা করা যাবে।
ডা. সাইফুল ফেরদৌস আরো বলেন, এই রোগীর শরীরে হামের মতো দানা দানা কিছু র্যাশ দেখা যাচ্ছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর শরীরে এ রকম হয় না। তারপরও তাঁরা সতর্কতার জন্য তাকে হোমকোয়ারেন্টিনে পাঠিয়েছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে ফেরার পর ওই নার্সের ১০২ ডিগ্রি পর্যন্ত জ্বর, গলাব্যথা, শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। শুক্রবার থেকে পাতলা পায়খানা শুরু হয়। শনিবারও তার ১০১ ডিগ্রি জ্বর ছিলো। অবস্থার অবনতি হওয়ায় শনিবার সকালে তিনি হাসপাতালে এসেছিলেন। চিকিৎসকেরা তাঁকে করোনা ওয়ার্ডে পাঠান। সেখান থেকে তাকে আইসোলেশন ইউনিটে যাওয়ার জন্য সুপারিশ করা হয়।
হাসপাতালের প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই নার্স করোনা ওয়ার্ডে ঢুকে লোকজনকে বলেছেন, ‘আমার করোনা হতে পারে। আমাকে একটু সাইড দিন।’ এ কথা শোনার সঙ্গে সঙ্গে লোকজন দৌড়ে দূরে চলে যান। এরপর তিনি চিকিৎসকদের কাছ থেকে ব্যবস্থাপত্র নিয়ে ‘হোমকোয়ারেন্টিনে’ চলে যান।
রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. এনামুল হক জানান, এখন পর্যন্ত জেলায় ৬৪ জন হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন। শনিবার নতুন করে ২২ জনের হোম কোয়ারেন্টিন শুরু হয়েছে। এপর্যন্ত মোট ৭২ জন হোম কোয়ারেন্টিনে ছিলেন।
এন/কে
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়