শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১৩ ১৪৩১
|| ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৪ জুন ২০২৩
জুন মাসের প্রথম দিন থেকে রাজশাহীতে বয়ে যাচ্ছে মাঝাাড়ি তাপপ্রবাহ। শনিবার (৩ জুন) এ মাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে গত ১৭ এপ্রিল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয়েছিল। যা গত নয় বছরের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে।
গতকাল শনিবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত মে মাসেও পরপর তিনদিন ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রা ছাড়িয়েছে। গত মাসের ৭ ও ৮ তারিখে তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ৯ তারিখে ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা মে মাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিস জানাচ্ছে, এরকম তাপমাত্রা অব্যহত থাকবে। বুধবার মাঝাড়ি তাপপ্রবাহ থাকলেও বৃহস্পতিবার থেকে তা তীব্র তাপপ্রবাহে রূপ নিয়েছে। এই তাপমাত্রা কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে। এরপর বৃষ্টির দেখা মিলতে পারে। তবে এ কয়েকদিনে দিনে ও রাতের তাপমাত্রাও বাড়বে।
সাধারণত তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তা মৃদু তাপপ্রবাহ। তাপমাত্রা যদি ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকে, তবে তাকে বলা হয় মাঝারি তাপপ্রবাহ। আর তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকলে তা হয় তীব্র তাপপ্রবাহ। ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা হলে তা হয় চরম তাপপ্রবাহ।
জৈষ্ঠ্যের মাঝামাঝি সময়ে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় অতিষ্ঠ মানুষজন। রাজশাহী নগরীর উপশহর এলাকায় বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ করছিলেন কিছু শ্রমিক। কাজের ফাঁকে তাদের বিশ্রাম ও স্যালাইন খেতেও দেখা যায়। সেখানে কর্মরত এক শ্রমিক বলেন, রোদের কারণে বেশিক্ষণ কাজ করা যাচ্ছে না। ছায়াতে এসে বিশ্রাম নিতে হচ্ছে। এই রোদে শরীর পুড়ে যাওয়ার মতো অবস্থা। তাও আমাদের কষ্ট করে কাজ করতে হচ্ছে।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ্য পর্যবেক্ষক এসএম রেজওয়ানুুল হক বলেন, আবহাওয়ার পূর্বাভাসে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। আগামী কয়েক দিনে তেমন বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই। এতে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। এরপর হয়তো বৃষ্টি হবে।বৃষ্টি হলেই তাপমাত্রা কমে যাবে।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়