শনিবার ১৮ মে ২০২৪ ||
জ্যৈষ্ঠ ৩ ১৪৩১
|| ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ২৯ জানুয়ারি ২০২২
শীতের সঙ্গে যেন পাল্লা দিয়েই বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগ। এতে শিশুসহ সকল বয়সী মানুষ ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
প্রথমত, অনেকেই অসুস্থতাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না। কেউ কেউ বাড়িতে বসে চিকিৎসা নিচ্ছেন। অবস্থার অবনতি হলে সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালেও চিকিৎসা নিচ্ছেন। আবার অনেকে বাড়িতে থেকেও চিকিৎসা নিচ্ছেন।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। সুতরাং বর্তমান করোনাকালীন পরিস্থিতিতে ঠান্ডাজনিত সমস্যাকে অবহেলা না করে গুরুত্ব সহকারে নিতে হবে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানিয়েছেন, হাসপাতালে বেডের চেয়ে রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি। এরমধ্যে শীতজনিত সমস্যা নিয়ে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডেই রোগীর চাপ বেড়েছে। প্রায় দু’তিনগুণ রোগী রয়েছে ওয়ার্ডগুলোতে। নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যে তারা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
এই সীমাবদ্ধতাগুলো কাটিয়ে উঠতেও স্বাস্থ্য বিভাগকে অগ্রসর হতে হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে শিশু হাসপাতাল চালু করে এই হাসপাতালের উপর চাপ কমাতে হবে। হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি শিশুদের জন্য মাত্র ১৫টি রুম হিটার লাগানো হয়েছে। পাশাপাশি বারান্দার জন্য কাঁচ দিয়ে ঘিরে দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফ্লোরে চিকিৎসা নেয়া রোগীদের এই শীতের মধ্যে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এসব রোগীদের জন্য প্রয়োজনীয় বেডের সংস্থানও করতে হবে।
বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা বলছেন, কিছু ভাইরাস আছে যেগুলো শুধু শীতের সময়ই আক্রমণ করে। এ সময় বাতাস অনেক বেশি শুষ্ক থাকে। ফলে শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে জীবাণু শ্বাসতন্ত্রে চলে যায়। তাই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। বিশেষ করে নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কিউলাইটিস, অ্যাজমা, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়াসহ শ্বাসতন্ত্রের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রকোপ বেড়ে যায়। বয়স্ক ও শিশুরাই সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত নানান রোগ আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শিশু ও বয়স্ক রোগীদের চিকিৎসার জন্য প্রায়ই হাসপাতালে যেতে হয়। বিশেষ করে নিউমোনিয়ায় আক্রান্তদের হাসপাতালে নেয়া জরুরি হয়ে পড়ে। কিন্তু প্রায়ই রামেক হাসপাতালে চিকিৎসা সংকট দেখা যায়। হাসপাতালে রোগীদের ভিড় সামলানোর সক্ষমতা নেই। সক্ষমতা রাতারাতি বাড়ানো সম্ভবও নয়। কিন্তু যতটুকু সক্ষমতা আছে ততটুকুই যেন সর্বোচ্চ ব্যবহার হয় সেটাও নিশ্চিত করতে হবে।
তাছাড়া করোনার কারণে সাধারণ সর্দি-কাশিতে অনেকে আতঙ্কিতও হচ্ছেন। এসময় বেশি উদ্বিগ্ন না হয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে। একটু সতর্ক থাকলেই ঠান্ডাজনিত রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। করোনা প্রতিরোধেও সচেতনতার বিকল্প নেই। মহামারীর উদ্ভুত পরিস্থিতিতে নিজের স্বাস্থ্য সুরক্ষারায় আরও যন্ত্রবান হতে হবে।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়