শনিবার ১৮ মে ২০২৪ ||
জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১
|| ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৬ অক্টোবর ২০২৩
অল্প খরচে অধিক লাভ হওয়ায় হাঁস পালনে ঝুঁকে পড়ছেন রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার বেকার যুবকরা। হাঁস চাষ করে বেকারত্ব দূর করার পাশাপাশি আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন যুবকরা। বিকল্প কর্মসংস্থান হিসেবে এই অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে হাঁস পালন । ইতোমধ্যে অনেক বেকার হাঁস পালন করে পেয়েছেন সফলতা।
হাঁসপালনের এমন চিত্র দেখা যায়, বাসুদেবপুর, স্লুইচ গেট, কাপাশিয়াপাড়া, উনুপনগর, মাধবপুর, সুলতানগঞ্জ, জলাহার, সাহাব্দীপুরসহ গোদাগাড়ী উপজেলার বিভিন্নস্থানে। বসতবাড়ির আঙ্গিনা এবং পতিত জমিতে গড়ে উঠেছে অসংখ্য হাঁসের খামার।
স্বল্প জায়গার পাশপাশি উন্মুক্ত পরিবেশে হাঁস পালন করা যায়। এছাড়াও হাঁস পালনে ব্যয় ভার তুলনামূলকভাবে খুবই কম হয়। ডিমের পাশপাশি পরিপক্ব হাঁস মাংসের জন্য বিক্রি করা যায় বলে লাভের পরিমাণ বেশী বলে জানিয়েছেন খামারিরা।
খামারী রকিবুল ইসলাম জানান, ছোট থেকেই পাতিহাঁস পালনের প্রতি একটা আগ্রহ থেকেই ১৯৯৮সালে ১০০ পাতিহাঁস নিয়ে পালন শুরু করলেও দীর্ঘদিন তা বন্ধ ছিল। বর্তমানে খামারে ৬৫০টি পাতিহাঁস রয়েছে। যেখান থেকে প্রতিদিন গড়ে ৩২০-৩৬০টি ডিম উৎপাদন হচ্ছে ।
হাঁস পালনকারী জসিম বলেন, তার খামারে ৬০০ হাঁসের মধ্যে প্রতিদিন দুই হাজার টাকার ডিম বিক্রি হয়। এতে সংসারে ভালো রোজগার হচ্ছে।
বাসুদেব পুর এলাকার খামারী রাকিবুল ইসলাম বলেন, কৃষিকাজে ব্যব্য বেড়ে যাওয়ায় হাঁসপালন শুরু করেছি। ২৫০টি হাঁস দিয়ে খামার শুরু করে এখন আমার খামারে ৬৫০ হাঁস রয়েছে। এর মধ্যে গড়ে ৩২০-৩৬০ ডিম পাচ্ছি। ডিম বিক্রি করে লাভবান হচ্ছি।
এ প্রসঙ্গে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা বলেন, হাঁস পালন একটি লাভজনক পেশা। বেকার যুবকরা এই পেশার মাধ্যমে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। নিয়মিত খামার পরিদর্শন করে হাঁসচাষ প্রসারে বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছেন বলেও তিনি জানিয়েছেন।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়