রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||
জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১
|| ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৩০ জুলাই ২০২৩
না ফেরার দেশে চলে যাওয়া শিক্ষাগুরু বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আব্দুস সামাদকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়েছে। দুর্গাপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিকাল ৬টার দিকে রাষ্ট্রীয়ভাবে তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। এর পর রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া -দুর্গাপুর) আসনের সংসদ সদস্য প্রফেসর ডাক্তার মনসুর রহমানের পক্ষ থেকে তার মরদেহে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এর পর পরই সর্বস্তরের মানুষ তাকে শ্রদ্ধা জানান।
এদিকে,দীপ্ত টিভির রাজশাহীর বিভাগীয় প্রতিনিধি ও নবরূপ টিভির পরিচালক ইউসুফ আদনানের পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আব্দুস সামাদ গতকাল শনিবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তিনি দুর্গাপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় এর সাবেক প্রধান শিক্ষকও ছিলেন।
মরহুমের সংক্ষিপ্ত জীবন বিবরণী প্রদত্ত করা হলো আব্দুস সামাদ, পিতা আলহাজ্ব হজরতুল্যা মন্ডল কৃষি বিভাগের একজন সহকারী অফিসার। মাতা হামিদা বানু গৃহীনি। চার ভাই, তিন বোন। গ্রাম পানানগর উপজেলা দূর্গাপুর, রাজশাহী। জন্ম ১৩-০১-১৯৫০ সাল। ১৯৬৬ সালে দূর্গাপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় হইতে ২য় বিভাগে এসএসসি পাস করেন এবং পাবনা সরকারি মহাবিদ্যালয় হইতে ২য় বিভাগে বিএসসি পাশ করেন। ১৯৭৯ সালে রাজশাহী বি, এড কলেজ হইতে ২য় বিভাগে বি, এড পাশ করেন এই সময় রাজশাহী বি এড কলেজের জি, এস নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সক্রিয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। দীর্ঘ দিন যাবৎ দূর্গাপুর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডারের দায়িত্বে আছেন।
দূর্গাপুর উপজেলার মানবাধিকার সংস্থার চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৪ সালে রাজশাহী বিভাগের শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক হিসাবে নির্বাচিত হন। রাজশাহী জেলা প্রশাসক প্রধান শিক্ষকের সম্মাননা প্রদান করেন। সক্রিয়ভাবে বিভিন্ন খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করে যথেষ্ঠ সুনাম অর্জন করেন। ১-১- ১৯৭২ সালে দূর্গাপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে বিজ্ঞান শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেন। এবং ১৫-০২-১৯৭৭ সাল হতে অদ্যবধি কৃতিত্বের সাথে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছেন।
তার লিখা ঊহমষরংয গবঃযড়ফ নামে একটি ইংরেজী এৎধসসধৎ বই ১৯৮৮ সালে প্রকাশিত হয়। ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ পদাতিক বাহিনীতে ২২ বেঙ্গলে মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্য হতে কিছু মুক্তিযোদ্ধার নিযোগ দান করলে তিনি উক্ত ২২ বেঙ্গল যোগদান করেন। অভ্যন্তরীণ বিশেষ কারণবশতঃ উক্ত ২২ বেঙ্গল বন্ধ ঘোষণা করা হলে প্রায় এক বছর পরে পুননায় দূর্গাপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে ফিরে আসেন। তাঁর একটি মেয়ে ও দুইটি পুত্র সন্তান আল্লাহ দান করেছেন।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়