বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ ||
জ্যৈষ্ঠ ১ ১৪৩১
|| ০৮ জ্বিলকদ ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৩০ এপ্রিল ২০২২
ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানেই খুশি। ঈদ মানে সকাল বেলা নতুন জামাকাপড় পরে নামাজ পড়া, এরপর বাসায় ফিরে সেমাই খাওয়া। সেমাই ঈদের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাই তো প্রতি বছরের মতো এ বছরেও ঈদের আগে রাজশাহীতে জমে উঠেছে সেমাইয়ের বাজার।
রাজশাহীর নগরীর সাহেব বাজারের মুদি দোকান ঘুরে দেখা যায়, হরেক রকমের সেমাইয়ের পসরা সাজিয়ে বসে আছেন বিক্রেতারা। ক্রেতাদের ভিড়ও চোখে পড়ার মতো। মূলত সকল শ্রেণি পেশার মানুষের ভিড়ই লক্ষ্য করা যায় এই বাজারে।
কেউ কিনছেন খোলা সেমাই, তো কেউ প্যাকেটের। কেউ কিনছেন দামি লাচ্ছা সেমাই, কেউ আবার একেবারেই সাদামাটা লম্বা সেমাই। তবে চাহিদা যার যেমনই হোক ঈদের দিন সকালে সেমাই খাওয়াই বড় ব্যাপার। তাই বৈশাখের কড়া রোদকে উপেক্ষা করেও ক্রেতারা ভিড় জমাচ্ছেন সেমাইয়ের দোকানগুলোতে।
বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত দুই বছর করোনার কারণে ব্যবসা ভালো হয়নি তাদের। তাই এবার ভালো বিক্রির আশায় বিভিন্ন নামিদামি কোম্পানির প্যাকেটজাত সেমাইসহ নানারকম খোলা সেমাই দোকানে তুলেছেন তারা।
তারা আরো জানান, ডালডা ভাজা সেমাই প্রতিকেজি ২৪০ টাকা, ঘিয়ে ভাজা প্যাকেটজাত সেমাই ২২০ থেকে ২৫০ টাকা, স্পেশাল ঘি সেমাই ৭৫০ টাকা দরে বিক্রে করছেন তারা। এছাড়া সাধারণ প্যাকেট করা সেমাই ৪০ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
সেমাই কিনতে আসা আব্দুর রশিদ জানান, সেমাই ছাড়া ঈদ জমে না,তাই জামা-কাপড়ের সাথে সাথে সেমাই কিনতে এসেছি। কিন্তু এবার সকল প্রকার সেমাইয়ের দামই একটু বেশি। তিনি আরও বলেন, শুধু সেমাই নয়, বাজারে চিনিসহ বিভিন্ন মসলার দামও বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরেকজন ক্রেতা ইয়াসির ইমরান জানায়, ব্যবসায়িরা নিজেদের লাভের জন্য জিনিসপত্রের দাম বেশি রাখছে। আর এর প্রভাব পড়ছে আমাদের মতো মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের উপর।
কিন্তু দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি, করোনা মহামারি আর বৈশাখের তীব্র রোদ সবকিছু উপেক্ষা করে কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ক্রেতা ও বিক্রেতারা।এ যেন ঈদের আগেই আরেক ঈদ। বাজার ঘুরে এমন চিত্রই পরিলক্ষিত হয়।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়