বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ ||
জ্যৈষ্ঠ ১ ১৪৩১
|| ০৮ জ্বিলকদ ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ১০ আগস্ট ২০২২
সমাজ উন্নয়নে প্রধান অন্তরায় সহিংস চরমপন্থা। এমন অনেক উন্নত দেশ ছিলো, যারা দেশের মধ্যকার সহিংসতা, চরমপন্থা দমন করতে না পারায় আজ তারা পুরো বিশ্ব থেকে পিছিয়ে পড়েছে। সমাজ থেকে সহিংস চরমপন্থা নির্মুলে তরুণদের যথার্থভাবে ব্যবহার করতে হবে। এজন্য তাদের পুথিগত বিদ্যার পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু পোস্ট উগ্রবাদ ছড়াচ্ছে। যার প্রতি অনেকের আগ্রহ বাড়ছে এবং এর প্রত্যক্ষ বিরূপ প্রভাব পড়ছে সমাজের সকল শ্রেণিপেশার মানুষের ওপর।
সহিংস চরমপন্থা প্রতিরোধে (পিভিই) নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে রাজশাহীতে আয়োজিত কর্মশালায় এসব তথ্য জানান বক্তারা। বরেন্দ্র উন্নয়ন প্রচেষ্টার আয়োজনে বুধবার দুপুর ১২টায় নগরভবনের সরিৎ দত্ত গুপ্ত সভাকক্ষে এই কর্মশালার আয়োজন করে। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বরেন্দ্র উন্নয়ন প্রচেষ্টার নির্বাহী পরিচালক ফয়েজুল্লাহ চৌধুরীর সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাসিকের প্যানেল মেয়র-১ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সরিফুল ইসলাম বাবু। সম্মানিত অতিথি ছিলেন দৈনিক সোনার দেশ সম্পাদক আকবারুল হাসান মিল্লাত, অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশাসহ রাসিকের ৩০টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরবৃন্দ।
কর্মশালা কর্মসূচিতে জানানো হয়, বাংলাদেশে তরুণ-যুবদের উগ্রবাদে জড়িত হওয়ার প্রধান কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে, ইন্টারনেট তথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রতি অত্যাধিক ঝোঁক, নি:সঙ্গ ও হতাশাসহ দুর্বল পারিবারিক বন্ধন ও পারিবারিক সহিংসতা, ধর্মের উগ্র ব্যাখ্যা ও উগ্র প্রচার-প্রচারণা এবং শিক্ষার্থীদের সামনে আদর্শ ব্যক্তিত্ব না থাকা ও শিক্ষাক্রমে ভিন্নতা।
এ সময় সহিংস উগ্রপন্থার ক্ষতিকর দিকসমূহ তুলে ধরে জানানো হয়, এতে করে নাগরিক স্বাধীনতা ও জননিরাপত্তা বিনষ্ট হয়, সমাজে সম্প্রীতি নষ্ট হয়, দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, পর্যটন শিল্প, বিদেশি বিনিয়োগ, শিক্ষা, শিল্প-সংস্কৃতি বাধাগ্রস্ত হওয়া সহ বিদেশে নিজ দেশের ভাবমূতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সর্বোপরি মানবজীবন ধ্বংস হয়। অনুষ্ঠানে সহিংস চরমপন্থা প্রতিরোধে কাউন্সিলরদের ভূমিকা তুলে ধরে তাদের সম্পৃক্ত হবার আহ্বান জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে কাউন্সিলরবৃন্দ সমাজে সহিংস চরমপন্থা কী ধরণের প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করছে তা তুলে ধরেন এবং এসব নির্মুলে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে সহিংস চরমপন্থা প্রতিরোধে (পিভিই) করণীয় বিষয়ে একটি প্রেজেন্টেশন প্রদর্শন করেন বরেন্দ্র উন্নয়ন প্রচেষ্টার প্রোগ্রাম ম্যানেজার সাইফুল ইসলাম। এসময় জানানো হয়, বরেন্দ্র উন্নয়ন প্রচেষ্টার সহযোগিতায় তরুণদের নিয়ে রাসিকের ৩০টি ওয়ার্ডে সহিংস চরমপন্থা প্রতিরোধ সেল গঠন করা হয়েছে।
কর্মশালায় বরেন্দ্র উন্নয়ন প্রচেষ্টার প্রোগ্রাম অফিসার আতিয়া তানসিমা, ফাইনান্স অফিসার অলোক বসু, ফিল্ড অফিসার মোস্তাক আহমেদ, ফিল্ড অফিসার নাজমুন নাহার প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়