শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১৪ ১৪৩১
|| ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫
প্রকাশিত: ১১ মার্চ ২০২৪
অন্য যেকোনো ধরনের পানীয় থেকে স্বাস্থ্য উপকারিতার দিক দিয়ে এগিয়ে থাকায় বিশ্বব্যাপী ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে গ্রিন টি। এর উৎপত্তিস্থল এশিয়া মহাদেশে হলেও বর্তমানে ইউরোপ আমেরিকার মানুষের খাদ্যতালিকায় স্থান করে নিয়েছে গ্রিন টি। এতে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লামাটরি প্রোপার্টি শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করতে সক্ষম। তবে সর্বাধিক স্বাস্থ্য উপকারিতা পেতে প্রয়োজন সঠিক নিয়মে পান করা।
বেশিরভাগ মানুষই সঠিক নিয়মে গ্রিন টি পান করেন না বলে এর স্বাস্থ্যউপকারিতা থেকে বঞ্চিত হন। যেই ভুলগুলোর জন্য এমনটি হচ্ছে জেনে নিন-
খালি পেটে পান অনেকেরই দিনের শুরুটা হয় এক কাপ চা দিয়ে। সকালে ঘুম থেকে উঠে গ্রীন টি পেটে অ্যাসিডিটি, বমি বমি ভাবের মতো সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। মূলত গ্রীন টিতে থাকা ট্যানিন উপাদানের কারনে এমনটি হয়।
এজন্য সকালে ঘুম থেকে উঠে হালকা নাস্তা করার পর এটি পান করা উচিত।
অতিরিক্ত পরিমানে পান গ্রীন টি অতিরিক্ত পরিমানে পান শরীরের ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। বিশেষজ্ঞরা প্রতিদিন ২ থেকে ৩ কাপের বেশি না খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এছাড়াও পরিমানের বেশি পান ইনসমনিয়া, মানসিক উদ্বেগ ও পরিপাকে অসুবিধা সৃষ্টি করতে পারে।
খাওয়ার পরপরই গ্রীন টি পান খাবার খাওয়ার পর কোনো বিরতি না নিয়ে গ্রীন টি পান শরীরে খাবার থেকে প্রাপ্ত আয়রন শোষনের পরিমান কমিয়ে দেয়। ফলে রক্তশূণ্যতা হওয়ার প্রবণতা বাড়ায়। এজন্য পুষ্টিবিদরা খাবার খাওয়ার এক ঘন্টা পর গ্রীন টি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
রাতে ঘুমানো আগে পান গ্রীন টিতে থাকা ক্যাফেইন ঘুমের সাইকেলে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। তাই রাতে যদি কেউ গ্রীনি টি পান করতে চায় তাহলে তাকে অবশ্যয় ঘুমাতে যাবার ২-৩ ঘণ্টা আগে পান করতে হবে।
বিশেষ কিছু ঔষুধের সঙ্গে সেবন বিশেষ কিছু রোগ যেমন- উচ্চরক্তচাপ, মানসিক রোগের ঔষুধ ও গ্রীন টি একই দিনে পান করলে পার্শপ্রতিাক্রয়া দেখা দিতে পারে। তাই এক্ষেত্রে অবশ্যয় ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
এই ভুলগুলো এড়িয়ে চললে গ্রীন টি পানের সর্বোচ্চ উপকার পাওয়া যাবে।
সূত্র: এনডিটিভি
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়