শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১৩ ১৪৩১
|| ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ৩ আগস্ট ২০২২
তিন অক্ষরের ছোট্ট একটি শব্দ বিদায়। কিন্তু শব্দটির আপাদমস্তক বিষাদে ভরা। শব্দটা কানে আসতেই মনটা কেন যেন বিষণ্ন হয়ে ওঠে। এমন কেন হয়? বিদায় অনেক রকম হতে পারে। আনুষ্ঠানিক বিদায়, ঘরোয়া বিদায়, সংবর্ধনার মাধ্যমে বিদায়সহ আরো কত রকম বিদায়। কিন্তু এবার গায়ে হলুদ দিয়ে গোসল শেষে বর সাজিয়ে দুই শিক্ষার্থীকে বিদায় জানিয়েছেন হলের অগ্রজ ও অনুজরা।
এমনই ব্যতিক্রমী আয়োজনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শহীদ জিয়াউর রহমান হলের দুই শিক্ষার্থীকে বিদায় জানিয়েছেন ওই হলের শিক্ষার্থীরা। এদিন ‘হলুদ সন্ধ্যা’র প্রাচীন রীতি মেনে দুই শিক্ষার্থীকে গায়ে হলুদ দিয়ে বর বেসে সাজানো হয়। বাঁশের ডালা, কুলা, নানা ধরনের ফল, ঘড়া, মটকা দিয়ে চলে হলুদ সন্ধ্যার আমেজ।
বিদায়ী ওই দুই শিক্ষার্থীর নাম হাসিনুর আলম। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী। অন্যজন হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিন্টমেকিং বিভাগের শিক্ষার্থী আলমগীর হোসাইন। তারা দুজনই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৪-১৫ সেশনের শিক্ষার্থী।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় শহীদ জিয়াউর রহমান হলের তৃতীয় ব্লকে এই আয়োজন করা হয়। এ অনুষ্ঠানে শহীদ জিয়াউর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ, আবাসিক শিক্ষক, বিদায়ী শিক্ষার্থীদের বন্ধু-বান্ধব ছাড়াও বিভাগের অগ্রজ ও অনুজদের পাশাপাশি বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরাও উপস্থিত ছিলেন।
এমন ব্যতিক্রমী বিদায়ের সাধুবাদ জানিয়ে শিক্ষার্থীরা জানান, এমন একটি ব্যতিক্রম আয়োজনের মাধ্যমে বড় ভাইদের বিদায় দিতে পেরে ভালোই লাগছে। সারাদিন সবাই মিলে হৈ-হুল্লোড় করা, রান্নাবান্না, খাওয়া-দাওয়া সব মিলিয়ে আয়োজনটা দারুণ ছিল। এমন আয়োজন হলে সিনিয়র-জুনিয়রদের মধ্যে সুন্দর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এমন আয়োজন সামনে আবার হোক এমনটা প্রত্যাশা শিক্ষার্থীদের।
বিদায়ী শিক্ষার্থী হাসিনুর আলম বলেন, ছোট ভাইয়েরা এমন ব্যতিক্রমী আয়োজনের মাধ্যমে আমাদের বিদায় জানাবে আমরা কল্পনাও করতে পারিনি। আমি এমন সংবর্ধনা পেয়ে খুবই আনন্দিত। জীবনের সেরা পাওয়াগুলোর মধ্যে এটি একটি। ছোট ভাইদের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে শহীদ জিয়াউর রহমান হল প্রাধ্যক্ষ ড. সুজন সেন বলেন, বিদায় অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের এই ব্যতিক্রমী আয়োজনটি সত্যি চমৎকার ও প্রশংসার দাবিদার। প্রায়ই শিক্ষার্থীদের গায়ে হলুদের ঘটনা শুনতে পেলেও প্রথমবারের মতো শিক্ষার্থীদের গায়ে হলুদের আয়োজনে অংশগ্রহণের সুযোগ হলো। এমন বিদায়ের মাধ্যমে সিনিয়র-জুনিয়রের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ সৃষ্টি হবে। এসময় তিনি শিক্ষার্থীদের জন্য শুভকামনা জ্ঞাপণ করেন।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়