শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১৩ ১৪৩১
|| ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২০ মে ২০১৯
সহপাঠীরা যেখানে শুধুই রেজাল্ট নিয়ে ভাবত, তখন শিক্ষাসহায়ক পাঠ নিয়ে ব্যস্ততা ছিল তার। বিজ্ঞান বিকাশে সায়েন্স ক্লাব, বাদ যায়নি সাংবাদিকতাও। এর মধ্যে গবেষণার কথাও ভুলে যাননি। এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক গবেষণা জার্নালে ছয়টি গবেষণাপত্র প্রকাশ পেয়েছে তার। সে গবেষণার পুরস্কারস্বরূপ ইউরোপের পর্তুগালের খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয় লিসবনে পিএইচডি গবেষণার সুযোগ পেয়েছেন তিনি।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী জহুরুল হক মুন। লিসবনের ফার্মেসি অনুষদভুক্ত মেডিসিন বিভাগে গবেষণা করবেন ড্রাগ ডিজাইন নিয়ে। দেশীয় ঔষধি গাছ ব্যবহার করে নতুন অ্যান্টিবায়োটিক উদ্ভাবনে কাজ চলবে চার বছর ধরে। এ বছর গত ১ মার্চ থেকে তার পিএইচডি গবেষণা শুরু হয়েছে।
রাজশাহীর নিউ গভ. ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পাসের পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তি হন। লেখাপড়ার পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রমে বেশ দক্ষতাও ছিল তার। একাধারে ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সায়েন্স ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা, প্রেস ক্লাবের সহসভাপতি, বাগমারা ছাত্রকল্যাণ সমিতির প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি। এছাড়া রাজশাহীর বরেন্দ্র টেলিভিশনের একজন জনপ্রিয় বিজ্ঞানবিষয়ক উপস্থাপকও।
বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য সহায়ক কী হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে জহুরুল মুন বলেন, ‘প্রথমত ইংরেজি ভাষায় তথা আইএলটিএস, জিআরই, টোয়েফল দক্ষতা অর্জন করতে হবে। অন্য একটি হলো গবেষণা। আমাদের শিক্ষার্থীরা যদি ভালো গবেষণা করেন, সেটি তাদের জন্য উচ্চ শিক্ষায় সহায়ক হিসেবে কাজ করবে। তাছাড়া সহ-শিক্ষা কার্যক্রমগুলোকে বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বেশ গুরুত্ব দেয়। যত বেশি সহশিক্ষা কাজের অভিজ্ঞতা থাকবে, তত ভালো হয়।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়