শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১২ ১৪৩১
|| ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০ ডিসেম্বর ২০২২
সাগরের নীল জলরাশি আর নির্মল আকাশের অপরূপ হাতছানি রয়েছে সেন্টমার্টিনে। অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যমণ্ডিত এ দ্বীপটি বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটন স্থান। কিন্তু দেশের একমাত্র এই প্রবাল দ্বীপটিতে প্রতি বছর বেড়াতে আসা দেশি-বিদেশি পর্যটকদের ফেলে যাওয়া ময়লা-আবর্জনায় এর সৌন্দর্য হারাতে বসেছে। পর্যটকদের ব্যবহৃত প্লাস্টিক বর্জ্য ও অপচনশীল আবর্জনা যত্রতত্র ফেলানোর ফলে দ্বীপটির প্রাকৃতিক ভারসাম্য আজ হুমকির মুখে।
এমন পরিস্থিতিতে পর্যটকদের মধ্যে ফেলে যাওয়া এসব বর্জ্যের ক্ষতি সম্পর্কে সচেতনতা ও পরিবেশ রক্ষায় প্রতীকী পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) একদল শিক্ষার্থীরা।
দ্বীপের জেটি ঘাট সংলগ্ন উত্তর দিকের সৈকতে গতকাল শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) এই অভিযান পরিচালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সদ্য বিদায়ী মাস্টার্স (২৬তম ব্যাচ) শিক্ষার্থীরা। ১৬ শিক্ষার্থী এতে অংশ নেন। এ সময় সৈকতে ঘুরে বেড়ানো স্থানীয় শিশু-কিশোরেরাও উৎসাহ নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অংশ নেয়।
বিভাগীয় শিক্ষাসফরের অংশ হিসেবে সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণে এসে তারা এই কর্মসূচি পরিচালনা করেন। এটি তত্ত্বাবধান করেন বিভাগের অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ বকুল।
প্রতীকী পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনার সময় তারা ৭টি বড় ব্যাগে করে সৈকতে পড়ে থাকা ও সাগর থেকে ভেসে আসা পলিথিন ব্যাগ, প্লাস্টিকের বোতলসহ নানা পরিবেশ দূষণকারী বর্জ্য সংগ্রহ করেন। এসব বর্জ্য তারা জেটি ঘাটের পাশে কোস্টগার্ডের নির্ধারিত বর্জ্য সংগ্রহ স্থানে ফেলে আসেন।
এই পরিচ্ছন্নতা অভিযানের তত্ত্বাবধায়ক অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ বকুল বলেন, বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন প্রকৃতির পক্ষ থেকে এ দেশের জন্য এক অমূল্য উপহার। কিন্তু সাগরে ফেলা প্লাস্টিকসহ নানা ধরনের বর্জ্য, দ্বীপে আগত পর্যটকদের ফেলা বর্জ্য দ্বীপটির ইতোমধ্যেই অনেক ক্ষতি করে ফেলেছে।
তিনি আরও বলেন, এই দ্বীপের ১৪১ প্রজাতির প্রবালের মধ্যে ইতোমধ্যেই ১০১টি প্রজাতি ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে। এছাড়া প্লাস্টিক দূষণ ও দ্বীপের পরিবেশের নানা ধরনের ক্ষতির কারণে এখানকার জীববৈচিত্র চরম হুমকির মুখে রয়েছে। এসব কারণে আমরা জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করেছি। আমরা চাই, মানুষ এই দ্বীপটিকে পরিষ্কার রাখুক। পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে সবাই এগিয়ে আসুক বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এই অধ্যাপক।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়