ব্রেকিং:
সড়ক দুর্ঘটনায় এনজিওর এক মহিলা কর্মী আহত হয়েছে ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের মধ্যে ট্রাম্প-পাকিস্তান সেনাপ্রধানের বৈঠক তবু আপন কর্তব্যে অবিচল সেনাবাহিনী "তারেক-খালেদাকে ‘খুনি’ বলা রফিক কালের কণ্ঠেই টিউলিপসহ রাজউকের ৯ কর্মকর্তাকে দুদকে তলব তলব করোনায় আরও ২ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৮ রাজশাহী মহানগরীতে বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১৩ জন তানোরে ভুয়া এনজিওর নামে ৩৪ লাখ টাকার প্রতারণা মামলা বিধবা নারীকে পেটানোর অভিযোগ সেচ্ছাসেবক দল নেতার বিরুদ্ধে
  • সোমবার   ১৩ অক্টোবর ২০২৫ ||

  • আশ্বিন ২৮ ১৪৩২

  • || ২০ রবিউস সানি ১৪৪৭

আমার রাজশাহী
সর্বশেষ:
সড়ক দুর্ঘটনায় এনজিওর এক মহিলা কর্মী আহত হয়েছে ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের মধ্যে ট্রাম্প-পাকিস্তান সেনাপ্রধানের বৈঠক তবু আপন কর্তব্যে অবিচল সেনাবাহিনী "তারেক-খালেদাকে ‘খুনি’ বলা রফিক কালের কণ্ঠেই টিউলিপসহ রাজউকের ৯ কর্মকর্তাকে দুদকে তলব তলব করোনায় আরও ২ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৮ রাজশাহী মহানগরীতে বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১৩ জন তানোরে ভুয়া এনজিওর নামে ৩৪ লাখ টাকার প্রতারণা মামলা বিধবা নারীকে পেটানোর অভিযোগ সেচ্ছাসেবক দল নেতার বিরুদ্ধে
২৩

অটোমেশনেও রাজশাহী ওয়াসায় কোটি কোটি টাকার লোকসান

নিজস্ব প্রতিবেদক:

প্রকাশিত: ১২ অক্টোবর ২০২৫  

রাজশাহী ওয়াসার (পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ) আধুনিকায়নের নামে কোটি কোটি টাকা ব্যয় হলেও প্রত্যাশিত সুফল মিলছে না। বরং বাড়ছে লোকসান, প্রশ্ন উঠছে ব্যবস্থাপনার স্বচ্ছতা ও কার্যকারিতা নিয়ে।

রাজশাহী মহানগরীতে বর্তমানে মোট ১২৩টি পানির পাম্প রয়েছে। এ সব পাম্প পরিচালনায় লোকবল ১৫৩ জন, যাদের বেতন বাবদ প্রতি মাসে ওয়াসাকে গুনতে হচ্ছে প্রায় ২৫ লাখ টাকা, অর্থাৎ বছরে প্রায় ৩ কোটি টাকার বেশি। অন্যদিকে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ওয়াসা গত বছরেই ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রতিটি পাম্পকে অটোমেশন সিস্টেমে রূপান্তর করেছে। এই সিস্টেমের মাধ্যমে ঘরে বসেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়—পাওয়ার সুইচ অন/অফ, পানির লেভেল, পাম্পের ত্রুটি, এমনকি মনিটরিং রিপোর্ট পর্যন্ত।

প্রশ্ন উঠছে—যখন সবকিছু ঘরে বসে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব, তখন শতাধিক লোকবল কেন? নগরীর বিভিন্ন পাম্প ঘুরে দেখা গেছে, বেশির ভাগ জায়গায় পাম্পচালকরা নিয়মিত দায়িত্বে থাকেন না। আশপাশের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, অনেক চালক দিনে একবার এসে পাম্প চালু করে ফিরে যান। ফলে দিনের বেশির ভাগ সময় তালাবদ্ধ থাকে পাম্প ঘর।

আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য হলো—কিছু চালক একসঙ্গে দুই শিফটের দায়িত্ব পালন করছেন, অথচ দুইজনের বেতন নিচ্ছেন। তার ওপর রয়েছে ওভারটাইম ভাতা, যা যোগ হয়ে বছরে বিপুল অঙ্কের অর্থ অপচয় হচ্ছে। এদিকে প্রশ্ন উঠেছে অটোমেশন প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিয়েও। দেশের বড় বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান বাদ দিয়ে কাজটি দেয়া হয় গোপালগঞ্জের একটি কোম্পানিকে। অভিযোগ—প্রতিষ্ঠানটি ক্ষমতাসীনদের প্রতিষ্ঠান। ফলে প্রকল্প বাস্তবায়নে যোগ হয়েছে স্বজনপ্রীতি ও অস্বচ্ছতা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অদক্ষ ব্যবস্থাপনা ও অটোমেশনের পরও অতিরিক্ত লোকবল ধরে রাখার কারণে রাজশাহী ওয়াসা এখন কোটি কোটি টাকার লোকসানে পড়েছে। অথচ দক্ষ ব্যবস্থাপনা ও ডিজিটাল মনিটরিং কার্যকরভাবে চালু করা গেলে এ অর্থ সাশ্রয় সম্ভব ছিল। স্থানীয় সচেতন মহল বলছেন—ওয়াসার কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি। নইলে আধুনিকতার নামে অপচয় চলতেই থাকবে, আর ভুক্তভোগী হবে নগরবাসী।

এব্যাপারে ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী পারভেজ মাসুদ বলেন, অনলাইনের মাধ্যমে প্যারা মিটার মনিটর করার ব্যাপার আছে। এছাড়া তিনি বলেন, মোবাইল ফোনে বিস্তারিত বলা সম্ভবনা। অফিস টাইমে আসেন স্বাক্ষাতে বিস্তারিত বলা যাবে।

আমার রাজশাহী
আমার রাজশাহী
নগর জুড়ে বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর