ব্রেকিং:
সড়ক দুর্ঘটনায় এনজিওর এক মহিলা কর্মী আহত হয়েছে ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের মধ্যে ট্রাম্প-পাকিস্তান সেনাপ্রধানের বৈঠক তবু আপন কর্তব্যে অবিচল সেনাবাহিনী "তারেক-খালেদাকে ‘খুনি’ বলা রফিক কালের কণ্ঠেই টিউলিপসহ রাজউকের ৯ কর্মকর্তাকে দুদকে তলব তলব করোনায় আরও ২ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৮ রাজশাহী মহানগরীতে বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১৩ জন তানোরে ভুয়া এনজিওর নামে ৩৪ লাখ টাকার প্রতারণা মামলা বিধবা নারীকে পেটানোর অভিযোগ সেচ্ছাসেবক দল নেতার বিরুদ্ধে
  • মঙ্গলবার   ০১ জুলাই ২০২৫ ||

  • আষাঢ় ১৭ ১৪৩২

  • || ০৫ মুহররম ১৪৪৭

আমার রাজশাহী
সর্বশেষ:
সড়ক দুর্ঘটনায় এনজিওর এক মহিলা কর্মী আহত হয়েছে ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের মধ্যে ট্রাম্প-পাকিস্তান সেনাপ্রধানের বৈঠক তবু আপন কর্তব্যে অবিচল সেনাবাহিনী "তারেক-খালেদাকে ‘খুনি’ বলা রফিক কালের কণ্ঠেই টিউলিপসহ রাজউকের ৯ কর্মকর্তাকে দুদকে তলব তলব করোনায় আরও ২ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৮ রাজশাহী মহানগরীতে বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১৩ জন তানোরে ভুয়া এনজিওর নামে ৩৪ লাখ টাকার প্রতারণা মামলা বিধবা নারীকে পেটানোর অভিযোগ সেচ্ছাসেবক দল নেতার বিরুদ্ধে
১২০৭

মাদক ব্যবসার অভিযোগ থাকা ‘ডলার রহমান’ এবার রাজনৈতিক পদে!

নিজস্ব প্রতিবেদক:

প্রকাশিত: ১ জুলাই ২০২৫  

রাজশাহী মহানগরে এক সময় ভয় আর বিতর্কের নাম ছিল ডলার রহমান। দীর্ঘদিন মাদক ব্যবসা, কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ, চাঁদাবাজি এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। অথচ সেই ডলার রহমান এখন নাগরিক পার্টির রাজশাহী মহানগর শ্রমিক উইংয়ের প্রধান সংগঠক পদে নিয়োগ পেয়ে নিজেকে ‘আল্লাহর শুকরিয়া আদায়কারী সেবক’ হিসেবে ঘোষণা করছেন—যা নিয়ে সাধারণ জনগণ থেকে শুরু করে রাজনৈতিক বিশ্লেষক পর্যন্ত উদ্বিগ্ন।

অতীতের কালো ছায়া  
ডলারের বিরুদ্ধে রাজশাহীর ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে মাদক বেচাকেনা, চাঁদাবাজি, কিশোর গ্যাং গঠন এবং ও পেশাদার নেশার আসর বসানোর অভিযোগ রয়েছে।

আলতু চক্রের মদদ  
অভিযোগ আছে, ডলারের পেছনে সক্রিয় মদদদাতা হিসেবে কাজ করছে পলাতক সন্ত্রাসী আলতু, যিনি নিজেও বহু অপরাধে জড়িত এবং ডলারের ঘনিষ্ঠ। আলতু ছিল পতিতা ভোগকারী, মাদক সিন্ডিকেটের প্রধান এবং সন্ত্রাসী নিয়ন্ত্রণের মূলহোতা।

দলীয় নীরবতা ও গোপন সমর্থন
ডলার রহমানকে নিয়ে স্থানীয়রা যখন ক্ষোভ প্রকাশ করছে, তখন বিস্ময়করভাবে নাগরিক পার্টির নেতারা এ নিয়ে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করছে না। শ্রমিক উইংয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা আবির হোসেন রুদ্র কে আগে থেকেই ডলারের অপরাধ সম্পর্কে অবহিত করা হলেও তিনি কোনও ব্যবস্থা নেননি। এই নীরবতা কি অক্ষমতা না কি গোপন প্রশ্রয়—এ প্রশ্ন এখন জনমনে ঘুরপাক খাচ্ছে।

অবাক করার বিষয় হচ্ছে, ডলার রহমান তার পদ পাওয়ার পর যে ফেসবুক স্ট্যাটাসে কেন্দ্রীয় নেতাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন, সেখানে খোদ আবির হোসেন রুদ্র নিজেই ‘রিয়্যাকশন’ দিয়েছেন।  
এটি প্রমাণ করে, তিনি ডলারের অতীত জানলেও তাকে পদে আসীন করার ক্ষেত্রে সরাসরি বা পরোক্ষভাবে সমর্থন দিয়েছেন—এমনটাই মনে করছেন সচেতন নাগরিকরা।

রাজনৈতিক মূল্যায়ন না অপরাধীদের প্রমোশন?  
রাজনীতির পর্যবেক্ষকদের মতে, একজন বিতর্কিত অপরাধীকে দায়িত্ব দেওয়া মানে সংগঠনের আদর্শকেই হেয় করা। এটি কেবল দলের নয়, বরং গণতন্ত্র ও আইন-শৃঙ্খলার জন্যও হুমকি।

জনমত ও প্রতিবাদ  
স্থানীয় এক প্রবীণ নাগরিক বলেন, “এই ডলার একসময় গলিতে গাঁজা আর ইয়াবা বিক্রি করত, এখন সে জনগণের প্রতিনিধি! তাহলে তো মাদকব্যবসায়ীদেরই রাজনীতিতে স্থান পাওয়া স্বাভাবিক।”

ডলার রহমানের পদ পাওয়া কেবল একটি ব্যক্তি নয়, পুরো রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রতি জনআস্থার ওপর আঘাত। রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত সত্যিকারের সেবক এবং সৎ মানুষদের সামনের কাতারে আনা—না হয় রাজনীতি শুধু মুখোশধারীদের হাতেই বন্দি থাকবে।

আমার রাজশাহী
আমার রাজশাহী
নগর জুড়ে বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর