ব্রেকিং:
সড়ক দুর্ঘটনায় এনজিওর এক মহিলা কর্মী আহত হয়েছে ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের মধ্যে ট্রাম্প-পাকিস্তান সেনাপ্রধানের বৈঠক তবু আপন কর্তব্যে অবিচল সেনাবাহিনী "তারেক-খালেদাকে ‘খুনি’ বলা রফিক কালের কণ্ঠেই টিউলিপসহ রাজউকের ৯ কর্মকর্তাকে দুদকে তলব তলব করোনায় আরও ২ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৮ রাজশাহী মহানগরীতে বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১৩ জন তানোরে ভুয়া এনজিওর নামে ৩৪ লাখ টাকার প্রতারণা মামলা বিধবা নারীকে পেটানোর অভিযোগ সেচ্ছাসেবক দল নেতার বিরুদ্ধে
  • মঙ্গলবার   ০২ ডিসেম্বর ২০২৫ ||

  • অগ্রাহায়ণ ১৭ ১৪৩২

  • || ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

আমার রাজশাহী
সর্বশেষ:
সড়ক দুর্ঘটনায় এনজিওর এক মহিলা কর্মী আহত হয়েছে ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের মধ্যে ট্রাম্প-পাকিস্তান সেনাপ্রধানের বৈঠক তবু আপন কর্তব্যে অবিচল সেনাবাহিনী "তারেক-খালেদাকে ‘খুনি’ বলা রফিক কালের কণ্ঠেই টিউলিপসহ রাজউকের ৯ কর্মকর্তাকে দুদকে তলব তলব করোনায় আরও ২ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৮ রাজশাহী মহানগরীতে বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১৩ জন তানোরে ভুয়া এনজিওর নামে ৩৪ লাখ টাকার প্রতারণা মামলা বিধবা নারীকে পেটানোর অভিযোগ সেচ্ছাসেবক দল নেতার বিরুদ্ধে
৫৮১

যুবদল নেতাকে মালা পরিয়ে রাজশাহী অ্যাসোসিয়েশনের দোকান দখল

নিজস্ব প্রতিবেদক:

প্রকাশিত: ২৭ আগস্ট ২০২৫  

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন ও যুবলীগ সভাপতি রমজান আলীর ঘনিষ্ঠ ছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ঘনিষ্ঠ হয়েছেন মহানগর যুবদলের সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মাইনুল হক হারুর সঙ্গে। এর জোরেই দখলে নিয়েছেন রাজশাহী অ্যাসোসিয়েশন ভবনের দোকান ও ভেতরের ফাঁকা জায়গা। নগরীর ষষ্ঠীতলা এলাকার আশিকুল আলম লিটুর বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ উঠেছে।

অবশ্য তিনি সমকালকে বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের শাসন তো দেখেছেন? ব্যবসায়ী ছিলাম, তাই মেয়রের কাছে ঈদের সময় যেতাম। তাঁর দল তো করতাম না। মাইনুল হক হাড়ু আমার আপন মামা। তাঁর কাছেও যাই।’ 

স্থানীয় দোকানদার ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, রাজশাহী অ্যাসোসিয়েশনের পদাধিকার বলে সভাপতি হন জেলা প্রশাসক এবং সহসভাপতি থাকেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অ্যাসোয়িশেন ভবনের ১ নম্বর দোকানটি দখল নিয়ে নিজের চেম্বার বানিয়েছেন। ভবনের আন্ডরগ্রাউন্ডে টিন দিয়ে বড় জায়গা ঘিরে রংমিস্ত্রিদের ভাড়া দিয়েছেন। ভবন থেকে বিদ্যুতের লাইন নিয়ে তিনি বাইরের দোকানে দিয়ে নিজেই ভাড়া আদায় করেন। আবার জোর করেই অ্যাসোসিয়েশন ভবনের মার্কেটের ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন। 

সামাজিক মাধ্যমের ছবিতে দেখা যায়, সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য খায়রুজ্জামান লিটনকে ফুলের তোড়া দিচ্ছেন তিনি। লিটন তাঁকে মুখে তুলে মিষ্টি খাওয়াচ্ছেন। আবার তাঁকে লিটনের পোস্টার লাগাতেও দেখা যায়। গণঅভ্যুত্থানের পরের ছবিতে দেখা যায়, আশিকুল মাইনুল হক হাড়ুর গলায় ফুলের মালা পরাচ্ছেন।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, অ্যাসোসিয়েশন ভবনের ১ নম্বর ঘরটি মনোয়ারা বেগমের নামে বরাদ্দ ছিল। দীর্ঘদিন ভাড়া না দেওয়ার কারণে নিয়ম অনুযায়ী দোকানের মালিকানা পেয়ে যায় অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃপক্ষ।

দখলের বিষয়ে আশিকুল আলম বলেন, আমি দোকানটি দখল করিনি। মূল মালিক মনোয়ারা বেগমের কাছ থেকে কিনে নিয়েছি। এক বছর ধরেই এই দোকানে আছি। এতদিন কেউ কিছু বলেনি, হঠাৎ এসব প্রশ্ন তোলা হচ্ছে।

জানতে চাইলে মাইনুল হক হাড়ু বলেন, আশিকুল আমার আপন ভাগনে। সে সরাসরি দল করে না। তবে আমাদের পুরো পরিবার বিএনপি। আগে ব্যবসার খাতিরে সে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চলেছে বলেও দাবি করেন তিনি।

মাইনুল বলেন, অ্যাসোসিয়েশনের ১ নম্বর ঘরে সাবেক মন্ত্রী আব্দুল ওয়াদুদ দারা জেলা আওয়ামী লীগের অফিস করেছিলেন। ঘরটি তাঁর স্ত্রী মনোয়ারা বেগমের নামে ছিল। ঘরটি আমার ভাগনে কেনেনি। ৫ আগস্টের পর ঘরটি ভাঙচুর করে পুড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল অনেকের। আশিকুল গিয়ে সেটি রক্ষা করেছে। এটা দখল নয় বলে দাবি করেন সাবেক এই যুবদল নেতা।

রাজশাহী অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার বলেন, অভিযোগ পেয়ে  অ্যাসোসিয়েশন ভবন পরিদর্শন করেছি। এ ব্যাপারে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জানা গেছে, শহরের অলকার মোড়ে ১৮৭২ সালের ২১ জুলাই রাজশাহী অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠা হয়। প্রতিষ্ঠাতা ও প্রথম সভাপতি ছিলেন দিঘাপতিয়ার রাজা প্রমথনাথ রায়বাহাদুর। প্রথম সেক্রেটারি করচমাড়িয়ার জমিদার ও ঐতিহাসিক স্যার যদুনাথ সরকারের বাবা রাজকুমার সরকার। রাজশাহী অ্যাসোসিয়েশনের বহু জনকল্যাণমূলক কাজ রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম ‘রাজশাহী টাউন হল’ স্থাপন, বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর স্থাপনে সহযোগিতা, ‘বসন্তকুমার এগ্রিকালচারাল ইনস্টিটিউট’ (১৯৩৬) স্থাপনে ভূমিকা পালন উল্লেখযোগ্য। রাজশাহী অ্যাসোসিয়েশনের সাহিত্যসভায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর ‘শিক্ষার হেরফের’ শীর্ষক প্রবন্ধটি পাঠ করেন (১২ নভেম্বর ১৮৯২)। এই হলেই ১৯২৮ সালের ১৬ ডিসেম্বর কাজী নজরুল ইসলাম বক্তৃতা করেছিলেন।

আমার রাজশাহী
আমার রাজশাহী
নগর জুড়ে বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর