মঙ্গলবার ০৬ জুন ২০২৩ ||
জ্যৈষ্ঠ ২৩ ১৪৩০
|| ১৭ জ্বিলকদ ১৪৪৪
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
প্রকাশিত: ৩০ এপ্রিল ২০২৩
রাজশাহীর বাজারে অসময়ে দেখা মিলেছে মধুমাস জ্যৈষ্ঠের অন্যতম রসালো ফল লিচু। বেশি দামের আশায় সামান্য রং আসতে না আসতেই গাছ থেকে লিচু পাড়তে শুরু করেছে কিছু ব্যবসায়ী। এসব লিচু আকার ও স্বাদ নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। দামও বেশ চড়া।
আর এখনই লিচু না কেনার পরামর্শ দিচ্ছেন রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা। একইসঙ্গে এখন কেমিকেল দিয়ে পাঁকানো ছাড়া লিচু পাকবে না বলেও জানাচ্ছেন তারা।
গতকাল শনিবার (২৯ এপ্রিল) রাজশাহী নগরীর সাহেববাজার ও কোর্টবাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা ব্যবসায়ীরা প্রতি শত লিচুর দাম হাঁকছেন ৩০০ থেকে সাড়ে ৪০০ টাকা পর্যন্ত। লিচু দেখেই বোঝা যাচ্ছে, সামান্য রং এসেছে। কিন্তু পুষ্ট হয় নি। ব্যবসায়ীরাও টক-মিষ্টি লিচু বলেই বিক্রি করছেন।
লিচু ব্যবসায়ী সম্রাট আলী জানান, তিনি লিচু শহিদ এএইচএম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যানের গাছ থেকে কিনে এনেছেন। লিচুতে রং এসেছে। খাওয়া যাবে। কিন্তু তেমন মিষ্টি হবে না।
আরেক ব্যবসায়ী মারুফ হোসেন জানান, তিনি নগরীর মির্জাপুর এলাকার একটি বাগান থেকে লিচু কিনে এনেছেন। লিচু টকমিষ্টি। আর নতুন ফল, দাম একটু বেশিই হবে।
এদিকে, রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. শফিকুল ইসলাম জানান, সবার আগে বারি-১ লিচু পাকে। তবে এখনও এই লিচু পরিপক্ব হওয়ার সময় হয় নি। মে মাসের মাঝামাঝি থেকে লিচু বাজারজাত করার মতো হবে। এখন লিচু পাকবে না। বাজারে যেগুলো পাওয়া যাচ্ছে, সেগুলো কেমিকেল দিয়ে পাকানো হতে পারে। এটা স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর। শুধু লিচুই নয়; সাহেববাজারের দু’এক জন দোকানি পাকা আমও বিক্রি করছেন। যেগুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে ফল পরিপুষ্ট হয় নি।
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ রাজশাহী জেলার অফিসার শাকিল আহম্মেদ বলেন, এখন তো অগ্রিম লিচুও পাকবে না। কেউ অপরিপক্ব বা কেমিকেল দিয়ে পাকিয়ে লিচু বিক্রি করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিষয়টি আমরা দেখবো।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়