অপপ্রচারের শিকার রাজশাহী যুবদলের নেতা সুইট: এলাকাবাসীর প্রতিবাদ

রাজশাহী শহরের রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচিত নাম যুবদলের তরুণ নেতা সুইট। জিয়াউর রহমানের আদর্শে বিশ্বাসী একজন একনিষ্ঠ দলীয় কর্মী হিসেবে সুইটের পরিচিতি দীর্ঘদিনের। কিন্তু হঠাৎ করেই রথের মেলাকে কেন্দ্র করে তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে, যা এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া ও তীব্র প্রতিবাদ সৃষ্টি করেছে।

অভিযোগের উৎস ও উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন

সাম্প্রতিককালে রথের মেলা পরিচালনা ও স্থাপন সংক্রান্ত কিছু অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সুইটের নাম জড়িয়ে একাধিক সামাজিক মাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়ে যে, তিনি নাকি মেলার দোকানদারদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করছেন। যদিও এই অভিযোগের কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়নি, তবুও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তা ভাইরাল করা হয়েছে।

এলাকাবাসীর জোর প্রতিবাদ

স্থানীয় বাসিন্দা, তরুণ, বয়োজ্যেষ্ঠ, ব্যবসায়ী এবং রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা এ অভিযোগকে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন। অনেকেই বলেছেন:

> “সুইট ভাই আমাদের এলাকায় ছোটবেলা থেকেই পরিচিত। তিনি যুবদলে যোগ দেওয়ার পর থেকে বহু সামাজিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত থেকেছেন। চাঁদাবাজি তার চরিত্রে নেই।”

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দোকানদার বলেন:

> “আমি রথের মেলায় দোকান করি। কেউ কোনো চাঁদা চায়নি। বরং সুইট নিজে এসে সহযোগিতা করেছে। এখন হঠাৎ কেন এসব বলছে, বুঝতে পারছি না।”

রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ইঙ্গিত : 

স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সুইট যেহেতু যুবদলের সক্রিয় নেতা এবং তরুণদের মধ্যে জনপ্রিয়, তাই তাকে চক্রান্ত করে রাজনৈতিকভাবে হেয় করার চেষ্টা হতে পারে।

> “দলীয় নেতৃত্বে শক্ত অবস্থান নেওয়া একজন কর্মীর বিরুদ্ধে এমন অপপ্রচার অনেক সময় বিরোধী পক্ষ বা ঈর্ষান্বিত মহলের কাজ হতে পারে।”

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজশাহীর রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গনে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে। এলাকার মানুষ সুইটের প্রতি তাদের আস্থা ও ভালোবাসা প্রকাশ করছেন, এবং অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠেছেন।

সবার দাবি একটাই — মিথ্যা অভিযোগকারীদের মুখোশ উন্মোচন হোক, এবং সত্য প্রকাশ পাক।