ব্রেকিং:
সড়ক দুর্ঘটনায় এনজিওর এক মহিলা কর্মী আহত হয়েছে ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের মধ্যে ট্রাম্প-পাকিস্তান সেনাপ্রধানের বৈঠক তবু আপন কর্তব্যে অবিচল সেনাবাহিনী "তারেক-খালেদাকে ‘খুনি’ বলা রফিক কালের কণ্ঠেই টিউলিপসহ রাজউকের ৯ কর্মকর্তাকে দুদকে তলব তলব করোনায় আরও ২ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৮ রাজশাহী মহানগরীতে বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১৩ জন তানোরে ভুয়া এনজিওর নামে ৩৪ লাখ টাকার প্রতারণা মামলা বিধবা নারীকে পেটানোর অভিযোগ সেচ্ছাসেবক দল নেতার বিরুদ্ধে
  • শুক্রবার   ২৭ জুন ২০২৫ ||

  • আষাঢ় ১৪ ১৪৩২

  • || ০১ মুহররম ১৪৪৭

আমার রাজশাহী
সর্বশেষ:
সড়ক দুর্ঘটনায় এনজিওর এক মহিলা কর্মী আহত হয়েছে ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের মধ্যে ট্রাম্প-পাকিস্তান সেনাপ্রধানের বৈঠক তবু আপন কর্তব্যে অবিচল সেনাবাহিনী "তারেক-খালেদাকে ‘খুনি’ বলা রফিক কালের কণ্ঠেই টিউলিপসহ রাজউকের ৯ কর্মকর্তাকে দুদকে তলব তলব করোনায় আরও ২ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৮ রাজশাহী মহানগরীতে বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১৩ জন তানোরে ভুয়া এনজিওর নামে ৩৪ লাখ টাকার প্রতারণা মামলা বিধবা নারীকে পেটানোর অভিযোগ সেচ্ছাসেবক দল নেতার বিরুদ্ধে
২২

বিএনপিতে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ভিড়

নিজস্ব প্রতিবেদক:

প্রকাশিত: ১৭ জুন ২০২৫  

লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যকার একান্ত বৈঠকের মধ্য দিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে বিএনপি ও তার মিত্রদের মধ্যে তৈরি হওয়া ধোঁয়াশা অনেকটাই কেটে গেছে। ফলে সারাদেশের মতো রাজশাহীতেও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে বেশ চাঙ্গাভাব লক্ষ করা যাচ্ছে। এই অবস্থায় দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতারা রাজশাহীর মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। বেড়েছে মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতাদের সংখ্যাও। তবে এর সঙ্গে রাজশাহীর প্রতিটি আসনেই দলীয় বিভক্তিও বেড়েছে। বিএনপি নেতারা বলেন, রাজশাহী বিএনপির দুর্গ হিসেবে পরিচিত। সবার ধারণা মনোনয়ন পাওয় মানে এমপি হওয়া। কিন্তু নেতাকর্মীরা বিভক্ত হলে এখানে জামায়াত ভালো ফল করবে বলে মনে করেন অনেকে।

অন্যদিকে, সাংগঠনিকভাবে ভালো অবস্থানে থাকা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীরা বসে নেই। এরই মধ্যে রাজশাহী-২ আসন ছাড়া বাকি পাঁচটি আসনেই প্রাথমিকভাবে একক প্রার্থী ঘোষণা করেছে দলটি। সেক্ষেত্রে একক প্রার্থীর পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে কাজ করছেন জামায়াতের নেতাকর্মীরা।

জুলাই আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী ছাত্রনেতাদের গড়া নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) রাজশাহীর ছয় আসনেই প্রার্থী দেওয়ার চিন্তা করছে। যদিও দলটির এখন পর্যন্ত রাজশাহী জেলা ও মহানগরে কমিটি গঠন করতে পারেনি। জুলাই গণহত্যার বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত ফ্যাসিবাদী তকমা পাওয়া আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ। আওয়ামী লীগের মিত্র জাতীয় পার্টির কোনো কার্যক্রমও রাজশাহীতে দেখা যায় না।

রাজশাহীর রাজনৈতিক সচেতন মহল মনে করে, জুলাই আন্দোলনের সফল গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকেই কোনো না কোনোভাবে মনোনয়নপ্রত্যাশীরা তাদের অবস্থান জানান দিয়ে আসছেন। কিন্তু গত ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহাÑ এই দুই ঈদে নির্বাচনী এলাকায় মনোনয়নপ্রত্যাশীদের তৎপরতা চোখের পড়ার মতো ছিল। গত ১৩ জুন লন্ডনে ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক ও নির্বাচনী বার্তায় মনোনয়নপ্রত্যাশীদের প্রচার-প্রচারণাসহ নানা কর্মকান্ডের মধ্যদিয়ে গতি আরও বেড়েছে। রাজশাহী মহানগর ও জেলা থেকে ইউনিয়ন ছাড়িয়ে ওয়ার্ড পর্যায়ের রাজনীতিও এখন বেশ সরগরম। সর্বত্রই চলছে নির্বাচনের আলোচনা।

মনোনয়নপ্রত্যাশীরা রাজনৈতিক-সামাজিক নানা কর্মসূচিতে যোগদান করতে দেখা যাচ্ছে। ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেও অতিথি হিসেবে যোগ দিচ্ছেন। দলীয় নেতাকর্মী ছাড়াও সাধারণ মানুষের সঙ্গে বিভিন্ন উপায়ে যোগাযোগ বৃদ্ধি করছেন তারা।

ব্যানার-পোস্টার সাঁটিয়ে দোয়া প্রার্থনা করছেন। এভাবেই বিএনপি ও জামায়াতের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা তাদের অবস্থান জানান দিচ্ছেন। এনসিপির কমিটি না থাকায় তাদের রাজনৈতিক তৎপরতা নেই বললেই চলে। তবে দলটির রাজশাহী অঞ্চলের সমন্বয়ক ইমরান ইমন আমাদের সময়কে বলেন, ‘চলতি সপ্তাহের মধ্যেই রাজশাহী জেলা ও মহানগর শাখার কমিটি ঘোষণা করা হবে। আমরা সারাদেশের মতো রাজশাহীর ছয়টি আসনেই একক প্রার্থী দেব। সে লক্ষ্যে কাজ চলছে।’

রাজশাহী সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, রাজশাহী জেলার ছয়টি আসনে মোট ভোটার ২১ লাখ ৭৭ হাজার ৭৬১ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১০ লাখ ৯২ হাজার ৯৫০ জন। পুরুষ ভোটার ১০ লাখ ৮৪ হাজার ৭৯৩ জন। এই ছয়টি আসনে এবার তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ১৮ জন

রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) : এই আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী চারজন। তাদের একজন হলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) শরিফ উদ্দিন। তিনি চারদলীয় জোট সরকারের সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত ব্যারিস্টার আমিনুল হকের ছোট ভাই এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার (২০০১-২০০৬) সামরিক সচিব ছিলেন। কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী, গোদাগাড়ী ও তানোরের বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কমিটি গঠনে তার মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া হয়ে থাকে। আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে শরিফ উদ্দিন বলেন, বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে আমাকে মাঠের রাজনীতিতে তৎপর হতে বলা হয়েছে।

এ ছাড়া বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে মাঠে নেমেছেন সুপ্রিমকোর্ট জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও গোদাগাড়ী উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলন, বিএনপি নেতা সুলতানুল ইসলাম তারেক ও জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি সাজেদুর রহমান মার্কনী।

এই আসনে জামায়াতে ইসলামীর একক প্রার্থী হিসেবে মাঠে ব্যাপক দলীয় ও সাংগঠনিক তৎপরতা শুরু করেছেন দলের নায়েবে আমির অধ্যাপক মজিবুর রহমান। তিনি ১৯৮৬ সালের নির্বাচনে এই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। এরপর কয়েকবার প্রার্থী হলেও জয়ের মুখ দেখতে পাননি। অধ্যাপক মজিবুর রহমান বলেন, রাজশাহী-১ আসনে আমাকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এটি দলের সিদ্ধান্ত। সেভাবেই নেতাকর্মীরা কাজ শুরু করছেন।

রাজশাহী-২ (সদর) : এই আসনে নেতাদের গ্রুপিংয়ের কারণে বিএনপি কয়েক ভাগে বিভক্ত। কিন্তু এই আসনে যোগ্য প্রার্থী বলতে সাবেক মেয়র ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনুকেই সবাই জানে। মাঠেও তিনি আছেন। কিন্তু দলের একটি অংশ চান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই আসন থেকে নির্বাচন করুন। অন্যদিকে এই আসনে রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ আলী ইশাও প্রার্থী হতে আগ্রহী। এই আসনে এমপি ছিলেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী প্রয়াত কবির হোসেন। ২০০১ সালে গুরু কবির হোসেনকে পরাজিত করে রাজশাহী-২ আসনের বিএনপির টিকিটে প্রথমবারের মতো এমপি হন মিজানুর রহমান মিনু। এবার প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে মিজানুর রহমান মিনু বলেন, আমি সবসময় সাধারণ মানুষের সঙ্গে থেকেছি, নেতাকর্মীদের পাশে থেকেছি।

অন্যদিকে এই আসনে জামায়াতে ইসলামী প্রাথমিকভাবে প্রার্থী ঠিক করেন। তবে, দলটির নেতাকর্মীদের সাংগঠনিক তৎপরতা চোখে পড়ার মতো। আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জামায়াতের নেতাকর্মীরা নগরীর থানা, ওয়ার্ড ও মহল্লা পর্যায়ে নিবিড় সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। দলবেঁধে করছেন গণসংযোগ। মহানগর শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক জসীম উদ্দিন সরকার বলেন, এই আসনে প্রার্থী কে হবেন, তা ঠিক করবেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।

রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) : এ আসনেও নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলীয় ও সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার করেছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। এ আসনটিতে বিএনপির চারজন প্রার্থী মাঠে রয়েছেন। তারা হলেন কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসনবিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন, রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রায়হানুল ইসলাম রায়হান, মোহনপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আব্দুস সামাদ, সাবেক ভূমি প্রতিমন্ত্রী প্রয়াত অ্যাডভোকেট কবির হোসেনের ছেলে নাসির হোসেন অস্থির।

এদিকে আসনটিতে জামায়াতে ইসলামী দলীয় প্রার্থী হিসেবে পবার হড়গ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চারবারের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদের নাম ঘোষণা করেছে। ফলে এ আসনেও সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার করেছে তারা।

রাজশাহী-৪ (বাগমারা) : শুধু বাগমারা উপজেলা নিয়েই রাজশাহী-৪ আসন। এই আসনে দলীয় মনোনয়ন পেতে তৎপর হয়ে উঠেছেন বিএনপির চার নেতা। তারা হলেন বাগমারা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডিএম জিয়াউর রহমান, সদস্য সচিব অধ্যাপক কামাল হোসেন, রাজশাহী জেলা যুবদলের সদস্য সচিব রেজাউল করিম টুটুল এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রের স্বাস্থ্যবিষয়ক সহসম্পাদক ড্যাব নেতা ডা. আশফাকুর রহমান শেলী। ডিএম জিয়াউর রহমান বলেন, দলকে তৃণমূল পর্যায়ে আরও সুসংগঠিত করতে আমরা দিন-রাত পরিশ্রম করছি। অধ্যাপক কামাল হোসেন বলেন, বাগমারা উপজেলা বিএনপি সাত ভাগে বিভক্ত ছিল। এখন নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ।

অন্যদিকে এ আসনটিতে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য জামায়াতও সর্বাত্মক প্রস্ততি গ্রহণ করেছে। আবদুল বারী সরদারকে এ আসনে জামায়াত দলীয় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। ফলে নেতাকর্মীরা দলীয় এবং সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার করেছেন।

রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) : এই আসনে বিএনপিদলীয় সাবেক এমপি ছিলেন তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ অ্যাডভোকেট নাদিম মোস্তফা। তিনি মারা যাওয়ার পর তার ছেলে ইঞ্জিনিয়ার জুলকার নাঈম মোস্তফা বিস্ময় মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে মাঠে নেমেছেন। এ ছাড়া দলের মনোনয়ন পেতে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন বিএনপির আরও হাফ ডজন প্রার্থী। তারা হলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও পুঠিয়া উপজেলার আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক, বিএনপির কেন্দ্রীয় মিডিয়া সেলের সদস্য ও কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা হাবিবা, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি রুকুনুজ্জামান আলম, জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় সহকারী মহাসচিব সিরাজুল করিম সনু, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক কোষাধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও পুঠিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম মন্ডল। নেতাকর্মীরা জানান, মনোনয়নপ্রত্যাশীরা নিজেদের সাংগঠনিক শক্তি জানান দিতে কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ শুরু করেছেন। তাদের সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করছেন।

এই আসনে জামায়াতের রাজশাহী জেলা শাখার সহকারী সেক্রেটারি নূরুজ্জামান লিটন এ আসনের দলের এমপি প্রার্থী। তিনিও নানা কর্মসূচির মাধ্যমে মানুষের কাছে যাচ্ছেন।

রাজশাহী-৬ (চারঘাট-বাঘা) : এখানে বিএনপির সাতজন মনোনয়নপ্রত্যাশী মাঠে নেমেছেন। তারা হলেন রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ, রাজশাহী জেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বল, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মামুন, সাবেক সহসভাপতি বজলুর রহমান, বাঘা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নুরুজ্জামান মানিক, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য দেবাশীষ রায় মধু। আরও কয়েকজন নেতা বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে এলাকায় সক্রিয় হচ্ছেন। জানতে চাইলে এই নেতারা জানান, তারা দুর্দিনে দলের পক্ষে মাঠে ছিলেন।

অন্যদিকে এই আসনে জামায়াতে ইসলামীর একক প্রার্থী জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ নাজমুল হক। নির্বাচনী এলাকায় বিভিন্ন দলীয়, ধর্মীয় ও সামাজিক কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছেন তিনি। দলটির নেতাকর্মীরা এ আসনে ব্যাপক সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন। পাশাপাশি সামাজিক নানা অনুষ্ঠানসহ সভা-সমাবেশ অব্যাহত রেখেছেন।

আমার রাজশাহী
আমার রাজশাহী
নগর জুড়ে বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর