ব্রেকিং:
সড়ক দুর্ঘটনায় এনজিওর এক মহিলা কর্মী আহত হয়েছে ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের মধ্যে ট্রাম্প-পাকিস্তান সেনাপ্রধানের বৈঠক তবু আপন কর্তব্যে অবিচল সেনাবাহিনী "তারেক-খালেদাকে ‘খুনি’ বলা রফিক কালের কণ্ঠেই টিউলিপসহ রাজউকের ৯ কর্মকর্তাকে দুদকে তলব তলব করোনায় আরও ২ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৮ রাজশাহী মহানগরীতে বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১৩ জন তানোরে ভুয়া এনজিওর নামে ৩৪ লাখ টাকার প্রতারণা মামলা বিধবা নারীকে পেটানোর অভিযোগ সেচ্ছাসেবক দল নেতার বিরুদ্ধে
  • শুক্রবার   ২৭ জুন ২০২৫ ||

  • আষাঢ় ১২ ১৪৩২

  • || ০১ মুহররম ১৪৪৭

আমার রাজশাহী
সর্বশেষ:
সড়ক দুর্ঘটনায় এনজিওর এক মহিলা কর্মী আহত হয়েছে ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের মধ্যে ট্রাম্প-পাকিস্তান সেনাপ্রধানের বৈঠক তবু আপন কর্তব্যে অবিচল সেনাবাহিনী "তারেক-খালেদাকে ‘খুনি’ বলা রফিক কালের কণ্ঠেই টিউলিপসহ রাজউকের ৯ কর্মকর্তাকে দুদকে তলব তলব করোনায় আরও ২ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৮ রাজশাহী মহানগরীতে বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১৩ জন তানোরে ভুয়া এনজিওর নামে ৩৪ লাখ টাকার প্রতারণা মামলা বিধবা নারীকে পেটানোর অভিযোগ সেচ্ছাসেবক দল নেতার বিরুদ্ধে
৮৫৬

“মানবিকতা না কি মুখোশ? এনসিপির শরবত বিতরণে বিতর্কিত দুই মুখ”

নিজস্ব প্রতিবেদক :

প্রকাশিত: ১৬ জুন ২০২৫  

রাজশাহীর সাহেব বাজার জিরোপয়েন্টে গত রবিবার (১৫ জুন) দুপুরে পথচারী ও শ্রমজীবী মানুষদের মাঝে শরবত বিতরণ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। প্রচণ্ড গরমে তৃষ্ণার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর এ উদ্যোগে অনেকেই সাধুবাদ জানিয়েছেন। তবে শরবত বিতরণে অংশগ্রহণকারী দুই ব্যক্তি—ডলার রহমান ও পাপ্পাকে ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক ও জনমনে শঙ্কা। অভিযোগ উঠেছে, তারা দীর্ঘদিন ধরে রাজশাহী নগরীর শেখেরচক (২৩ নম্বর ওয়ার্ড) এলাকায় মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।

মানবিক কর্মকাণ্ডের আড়ালে বিতর্কিত মুখ

শরবত বিতরণে এনসিপির শ্রমিক উইংয়ের কয়েকজন সদস্য সক্রিয়ভাবে অংশ নেন, যার মধ্যে ছিলেন প্রত্যয়, শ্রাবণী, ডলার ও পাপ্পা। কিন্তু এলাকাবাসীর ভাষ্য অনুযায়ী, ডলার ও পাপ্পা মূলত মাদক ব্যবসায়ী। তাদের বিরুদ্ধে ইয়াবা, ফেনসিডিল ও অন্যান্য মাদকদ্রব্য বিক্রির অভিযোগ বহুদিনের। এ নিয়ে এলাকাবাসী বহুবার প্রতিবাদ জানালেও প্রশাসনের কার্যকর ব্যবস্থা এখনও অনুপস্থিত।

শেখেরচকে মাদকবিরোধী লড়াই এবং হুমকির কালো ছায়া

শেখেরচক এলাকাটি একসময় মাদকমুক্ত ছিল, কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে মাদক ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্যে সেখানে পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতির দিকে যাচ্ছে। মাদকের আগ্রাসন থেকে যুব সমাজকে রক্ষা করতে স্থানীয় যুবকরা মিলে গঠন করে মাদকবিরোধী কমিটি

এই কমিটি বিভিন্ন সময় এলাকায় মাদকবিরোধী সভা, র‌্যালি, প্রচারণা এবং মিছিলের আয়োজন করে। এসব কর্মসূচির মূল লক্ষ্য ছিল, তরুণদের সচেতন করা এবং প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে মাদক নির্মূলের পথ তৈরি করা।

কিন্তু, এলাকার যুবকদের অভিযোগ, মাদকবিরোধী পদক্ষেপ নেওয়ার কারণে ডলার ও পাপ্পা তাদেরকে নিয়মিত হুমকি-ধমকি দিয়ে থাকে। কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে সামাজিকভাবে হেয় করার চেষ্টা করা হয়, আবার কেউ কেউ সরাসরি ভয়ভীতির শিকার হচ্ছে।

একজন তরুণ বলেন,

“আমরা সমাজকে রক্ষা করতে চাই, কিন্তু যারা সমাজ ধ্বংস করছে তারা উল্টো আমাদের হুমকি দেয়। আমরা আতঙ্কে আছি, তবুও থেমে নেই।”

প্রশাসনের নীরবতা ও জনমনে প্রশ্ন

এতসব অভিযোগ সত্ত্বেও এখনো পর্যন্ত কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা দেখা যায়নি। এলাকাবাসী ও সমাজ সচেতন নাগরিকরা প্রশ্ন তুলছেন—যেখানে প্রশাসনের এত সংস্থা রয়েছে, সেখানে কীভাবে দিনের পর দিন এ ধরনের অপরাধীরা জনসেবার মুখোশ পরে নির্বিঘ্নে ঘুরে বেড়াতে পারে?

স্থানীয় এক প্রবীণ ব্যক্তির ভাষ্য,

“একদিকে তারা মাদক ব্যবসা করে, আরেকদিকে সমাজসেবার নাটক করে। এটা এক ধরনের প্রতারণা।”

তদন্তের দাবি ও ভবিষ্যতের প্রত্যাশা

বর্তমানে এলাকাবাসীর একটাই দাবি—ডলার ও পাপ্পার মতো ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যথাযথ তদন্ত হোক এবং প্রমাণিত হলে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হোক। পাশাপাশি, যারা সত্যিকারের সমাজসেবী, তারা যেন এসব অপকর্মকারীদের কারণে প্রশ্নবিদ্ধ না হন।


উপসংহার:

এই ঘটনাটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেয়—সমাজসেবা একটি সম্মানজনক কাজ, কিন্তু সেই আড়ালে যদি অপরাধীরা নিজেদের মুখ ঢাকার চেষ্টা করে, তবে তা শুধু সমাজ নয়, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যও বড় হুমকি। তাই সময় এসেছে মাদক ও অপরাধের বিরুদ্ধে এক হয়ে দাঁড়ানোর।

আমার রাজশাহী
আমার রাজশাহী
নগর জুড়ে বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর