ব্রেকিং:
সড়ক দুর্ঘটনায় এনজিওর এক মহিলা কর্মী আহত হয়েছে ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের মধ্যে ট্রাম্প-পাকিস্তান সেনাপ্রধানের বৈঠক তবু আপন কর্তব্যে অবিচল সেনাবাহিনী "তারেক-খালেদাকে ‘খুনি’ বলা রফিক কালের কণ্ঠেই টিউলিপসহ রাজউকের ৯ কর্মকর্তাকে দুদকে তলব তলব করোনায় আরও ২ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৮ রাজশাহী মহানগরীতে বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১৩ জন তানোরে ভুয়া এনজিওর নামে ৩৪ লাখ টাকার প্রতারণা মামলা বিধবা নারীকে পেটানোর অভিযোগ সেচ্ছাসেবক দল নেতার বিরুদ্ধে
  • বুধবার   ৩০ জুলাই ২০২৫ ||

  • শ্রাবণ ১৫ ১৪৩২

  • || ০৪ সফর ১৪৪৭

আমার রাজশাহী
সর্বশেষ:
সড়ক দুর্ঘটনায় এনজিওর এক মহিলা কর্মী আহত হয়েছে ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের মধ্যে ট্রাম্প-পাকিস্তান সেনাপ্রধানের বৈঠক তবু আপন কর্তব্যে অবিচল সেনাবাহিনী "তারেক-খালেদাকে ‘খুনি’ বলা রফিক কালের কণ্ঠেই টিউলিপসহ রাজউকের ৯ কর্মকর্তাকে দুদকে তলব তলব করোনায় আরও ২ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৮ রাজশাহী মহানগরীতে বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১৩ জন তানোরে ভুয়া এনজিওর নামে ৩৪ লাখ টাকার প্রতারণা মামলা বিধবা নারীকে পেটানোর অভিযোগ সেচ্ছাসেবক দল নেতার বিরুদ্ধে
৪০

রাজশাহীর খুচরা বাজারে মসলার দাম বাড়তি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১ জুন ২০২৫  

রাজশাহীর খুচরা বাজারে মসলার দাম বাড়তি। আমার রাজশাহী

রাজশাহীর খুচরা বাজারে মসলার দাম বাড়তি। আমার রাজশাহী

গতকাল শনিবার (৩১ মে) সকালে রাজশাহীর সাহেববাজার, মাস্টারপাড়া ও হড়গ্রামসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

বিক্রেতারা বলছেন, আমদানি অব্যাহত থাকলেও আগের উচ্চ দামে কেনা পণ্য তারা বিক্রি করছেন। ফলে খুচরা বাজারে দাম বাড়তির দিকে। তবে ক্রেতারা অভিযোগ করছেন, ঈদের আগেই কৃত্রিমসংকট সৃষ্টি করে ইচ্ছা মতো দাম বাড়ানো হচ্ছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক মাস আগেও এলাচের কেজি ছিল ৪৬০০ টাকা, এখন তা বেড়ে হয়েছে ৪৮০০ টাকা। প্রতি ১০০ গ্রামে বেড়েছে ২০ টাকা। জিরার দাম ৫৫০ থেকে ৬০০ এবং ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা হয়েছে। ধনিয়ার দাম অবশ্য স্থিতিশীল রয়েছে- পাইকারি বাজারে দাম ১৪২ ও খুচরায় ১৯০ টাকা কেজি।

আদা ও রসুনের দামও ঊর্ধ্বমুখী। মানভেদে এখন আদা বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ১০০ টাকা কেজি। রসুন ১২০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে, যেখানে এক মাস আগেও এর দাম ছিল ৭০ টাকা। তবে তেজপাতা, দারুচিনি, কিশমিশ, বাদামজাতীয় পণ্যের দাম তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল, কিছু কিছু ক্ষেত্রে সামান্য কমেছে।

রাজশাহীর সাহেববাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী আবু হানিফ বলেন, ‘আমরা বড় অর্ডারে পণ্য কিনি, তাই পাইকারি দামে তেমন পরিবর্তন নেই। কিন্তু পরিবহন, ভাঙানো ও সংরক্ষণের খরচ যোগ হওয়ায় খুচরায় দাম কিছুটা বাড়ে।’

মাস্টারপাড়ার আরেক পাইকারি ব্যবসায়ী সনি হোসেন বলেন, ‘ঈদের আগে চাহিদা বাড়ে ঠিকই, তবে আমদানিও স্বাভাবিক। খুচরা পর্যায়ে অনেকেই বেশি মুনাফা রাখতে গিয়ে দাম বাড়িয়ে দেন।’

খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, আগের বেশি দামে কেনা পণ্য এখনো বিক্রি করতে হচ্ছে। সাহেববাজারের খুচরা বিক্রেতা সোহেল মিয়া বলেন, ‘গত মাসে যে দামে পণ্য এনেছি, এখনো তা বিক্রি করছি। অল্প করে বিক্রি করতে হয়, তাই দাম কিছুটা বেশি পড়ে।’

ঈদের বাজার করতে এসে অনেক ক্রেতা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সাহেববাজারে আসা গৃহিণী তানিয়া খাতুন বলেন, ‘ঈদ এলেই সবকিছুর দাম বাড়ে, কিন্তু আয় তো বাড়ে না। বাজারে গেলে মনে হয় শুধু ঠকতেই এসেছি।’ একই বাজারে আসা আমজাদ হোসেন বলেন, ‘গত এক বছরে মসলার দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। এখন ৩০-৫০ টাকা কমলেও তেমন স্বস্তি নেই।’

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগের সহকারী পরিচালক ফজলে এলাহী বলেন, ‘আমরা নিয়মিত বাজার মনিটর করছি। কোনো অসাধু ব্যবসায়ী কৃত্রিমসংকট তৈরি করে দাম বাড়ানোর চেষ্টা করলে ব্যবস্থা নিচ্ছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘মসলার বাজার আমদানিনির্ভর হওয়ায় আন্তর্জাতিক বাজারের প্রভাব রয়েছে। তবে গত কয়েক মাসে বৈশ্বিক বাজারে দাম স্থিতিশীল থাকায় দেশে তেমন প্রভাব পড়েনি।’

আমার রাজশাহী
আমার রাজশাহী
রাজশাহী বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর