ব্রেকিং:
সড়ক দুর্ঘটনায় এনজিওর এক মহিলা কর্মী আহত হয়েছে ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের মধ্যে ট্রাম্প-পাকিস্তান সেনাপ্রধানের বৈঠক তবু আপন কর্তব্যে অবিচল সেনাবাহিনী "তারেক-খালেদাকে ‘খুনি’ বলা রফিক কালের কণ্ঠেই টিউলিপসহ রাজউকের ৯ কর্মকর্তাকে দুদকে তলব তলব করোনায় আরও ২ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৮ রাজশাহী মহানগরীতে বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১৩ জন তানোরে ভুয়া এনজিওর নামে ৩৪ লাখ টাকার প্রতারণা মামলা বিধবা নারীকে পেটানোর অভিযোগ সেচ্ছাসেবক দল নেতার বিরুদ্ধে
  • শনিবার   ১২ জুলাই ২০২৫ ||

  • আষাঢ় ২৭ ১৪৩২

  • || ১৬ মুহররম ১৪৪৭

আমার রাজশাহী
সর্বশেষ:
সড়ক দুর্ঘটনায় এনজিওর এক মহিলা কর্মী আহত হয়েছে ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের মধ্যে ট্রাম্প-পাকিস্তান সেনাপ্রধানের বৈঠক তবু আপন কর্তব্যে অবিচল সেনাবাহিনী "তারেক-খালেদাকে ‘খুনি’ বলা রফিক কালের কণ্ঠেই টিউলিপসহ রাজউকের ৯ কর্মকর্তাকে দুদকে তলব তলব করোনায় আরও ২ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৮ রাজশাহী মহানগরীতে বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১৩ জন তানোরে ভুয়া এনজিওর নামে ৩৪ লাখ টাকার প্রতারণা মামলা বিধবা নারীকে পেটানোর অভিযোগ সেচ্ছাসেবক দল নেতার বিরুদ্ধে
২৭

জুলাই বিপ্লবের এক বছরে দাঁড়িয়ে রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থীদের ভাবনা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

প্রকাশিত: ৮ জুলাই ২০২৫  

জুলাই শুধু একটি মাস নয় এটি আমাদের ইতিহাসের সাহসিকতা ও সংগ্রামের এক প্রতীক। এই মাসেই স্বৈরাচারের শৃঙ্খল ছিঁড়ে বুকভরা সাহসে রাজপথে নেমেছিল দেশের তরুণ সমাজ। রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থীরাও ছিল সেই আন্দোলনের অগ্রভাগে, যারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে বদলে দিতে চেয়েছিল ভবিষ্যতের পথরেখা। এক বছরের দ্বারপ্রান্তে গিয়েছে সেই ঐতিহাসিক জুলাই। সময়ের পালাবদলে অনেক কিছুই বদলেছে, কিন্তু শিক্ষার্থীদের মনে এখনও জ্বলছে সেই আন্দোলনের স্মৃতি, অনুপ্রেরণা আর প্রতিজ্ঞা। এক বছরে দাঁড়িয়ে আমরা শুনি তাদের অন্তরের কথা। তারা কী ভাবছে, কেমন দেখছে সেই সময়কে ঠিক সেই ভাবনাগুলোই তুলে ধরেছেন দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসের রাজশাহী কলেজ প্রতিনিধি মোঃ আব্দুল আলিম।

স্বাধীনতার বছরে রাজশাহী কলেজকে যেভাবে দেখি

জুলাই স্বাধীনতার এক বছরে দাঁড়িয়ে আমি রাজশাহী কলেজকে দেখতে চাই এক নতুন সম্ভাবনার দ্বারপ্রান্তে, যেখানে ইতিহাস আর আধুনিকতার এক অপূর্ব সেতুবন্ধন গড়ে উঠেছে। আমি চাই, এই কলেজ হোক মুক্তচিন্তার এক আশ্রয় যেখানে শিক্ষার্থীরা শুধু পাঠ্যবইয়ের জ্ঞানেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং হয়ে উঠবে মানবিক, পরিবেশবান্ধব ও প্রযুক্তিবান্ধব সমাজ নির্মাতা। আমার স্বপ্নে রাজশাহী কলেজ একটি শিক্ষাবান্ধব, গবেষণানির্ভর, লিঙ্গ-সমতার আদর্শ প্রতিষ্ঠান যেখানে শিক্ষক-শিক্ষার্থী বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে আবদ্ধ, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সুরক্ষিত এবং সাংস্কৃতিক, সামাজিক চেতনা জাগ্রত। চাই কলেজ চত্বরজুড়ে যেন থাকে সবুজের সমারোহ, বইয়ের ঘ্রাণ, কবিতার শব্দ আর গানের সুর। স্বাধীনতার এই বছরে রাজশাহী কলেজ হয়ে উঠুক দেশের শ্রেষ্ঠ শিক্ষালয় যেখান থেকে প্রতিটি ছাত্রছাত্রী বেরিয়ে যাবে সত্য সাহস ও স্বপ্নের দীক্ষা নিয়ে গড়ে তুলতে একটি আলোকিত বাংলাদেশ। -রাবেয়া খাতুন, অনার্স চতুর্থ বর্ষ, বাংলা বিভাগ।

 

আমাদের দ্বিতীয় স্বাধীনতার এক বছর

আমাদের দ্বিতীয় স্বাধীনতার এক বছর পেরিয়ে আমরা ফিরে দেখি সারা বাংলাদেশের ন্যায় রাজশাহী কলেজেও বিগত বছরগুলোতে ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরোধী মত দমন-পীড়ন, শিক্ষাঙ্গনে নজরদারি, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণের অপচেষ্টা সবকিছুই ছাত্রসমাজের বুক চিরে গেছে। শিক্ষা শুধু বইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, এটি হচ্ছে অধিকার রক্ষার অস্ত্র, সমাজ বদলের হাতিয়ার। আর এই অধিকার ছিনিয়ে নিতে জুলাই বিপ্লবে প্রাণ দিয়েছেন এই ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থী শহীদ আলী রায়হানসহ সারা দেশের হাজারো শিক্ষার্থী। আজ, স্বাধীনতার এক বছরে দাঁড়িয়ে আমাদের প্রত্যাশা রাজশাহী কলেজ হয়ে উঠুক একটি মুক্ত মঞ্চ, যেখানে জ্ঞান যুক্তি ও মানবিকতা একসাথে পথ দেখাবে। খুনি হাসিনা বিরোধী ও গণতান্ত্রিক ছাত্রসংগঠনগুলো একে অপরের প্রতিযোগী নয়, বরং সহযোগী হিসেবে কাজ করবে শিক্ষা ও শিক্ষার্থীদের মানোন্নয়নে। এখানে গড়ে উঠুক এমন এক প্রজন্ম, যারা অন্যায়কে প্রশ্ন করবে, প্রতিবাদ করবে, স্বপ্ন দেখতে জানবে এবং নেতৃত্ব দিতে পারবে। ফ্যাসিবাদের ছায়া থেকে বেরিয়ে আগামী দিনের রাজশাহী কলেজ হোক অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী আর ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনার প্রতীক। শিক্ষার সঙ্গে রাজনৈতিক সচেতনতার মেলবন্ধনেই গড়ে উঠবে সেই প্রজন্ম, যারা আর কখনো ফ্যাসিবাদের ছায়াকেও ঠাঁই দেবে না। সর্বোপরি আমি ভবিষ্যতে এক বৈষম্যহীন ও সুস্থ গণতান্ত্রিক ভাবধারার বাংলাদেশ প্রত্যাশা করি তবেই আমাদের শহীদ ভাই-বোনদের রক্তের মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হবে। -খালিদ সাইফুল্লাহ, অনার্স তৃতীয় বর্ষ, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ।

সৃজনশীলতার উর্বর ভূমি হোক রাজশাহী কলেজ

জুলাই স্বাধীনতার এক বছরে দাঁড়িয়ে আমি স্বপ্ন দেখি একটি নিরাপদ, সহনশীল ও শিক্ষাবান্ধব ক্যাম্পাসের। তারুণ্যের তাজা রক্তে রাজপথ রঞ্জিত করে আমরা পেয়েছি আমাদের বহু আকাঙ্ক্ষিত মুক্তি। দেশসেরা রাজশাহী কলেজেও ঘটেছে বহু নৃশংস ঘটনা। সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে ভবিষ্যতে এই ক্যাম্পাসে আর কোনো রক্তাক্ত ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি চাই না। রাজশাহী কলেজ ক্যাম্পাস হোক সৃজনশীলতার উর্বর ভূমি। ক্যাম্পাস হবে এমন একটি জায়গা, যেখানে শিক্ষক-শিক্ষার্থী সকলেই পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সহানুভূতির বন্ধনে আবদ্ধ থাকবে। সর্বোপরি, দেশসেরা কলেজের মর্যাদা অক্ষুণ্ণ থাকুক জুলাই স্বাধীনতার বর্ষপূর্তির এই লগ্নে এই প্রত্যাশা করি। -মোছা. সুমাইয়া খাতুন, অনার্স তৃতীয় বর্ষ, মনোবিজ্ঞান বিভাগ।

বিশ্বমানের শিক্ষার্থী গড়ার কলেজ চাই

জুলাই বিপ্লবের এক বছর পরে এসে রাজশাহী কলেজকে আমি এমন এক অবস্থানে দেখতে চাই যেখানে কলেজ প্রশাসনের থাকবে দায়বদ্ধতা এবং জবাবদিহিতা। এখানে গবেষণা হবে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল বিকাশে প্রশাসন সহায়তা করবে, নতুন নতুন ভাবনা-চিন্তা দেশ পরিবর্তনের ভূমিকা রাখবে। শিক্ষকরা হবেন শিক্ষার্থীবান্ধব এবং শিক্ষার্থীরা হবে দায়িত্বশীল, সৃষ্টিশীল এবং সমাজ পরিবর্তনের কারিগর। আর কোনো রাজনৈতিক দলের রোষানলে শিক্ষার্থীরা পড়বে না। কোনো শিক্ষার্থীর স্বাভাবিক চলাফেরা বা তার মতামত রোধ করা হবে না। এক কথায় এই কলেজের শিক্ষার্থীরা হোক বিশ্বমানের শিক্ষার্থী। -রবিউল ইসলাম, অনার্স তৃতীয় বর্ষ, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ।

আমার রাজশাহী
আমার রাজশাহী
নগর জুড়ে বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর