রোববার ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ||
মাঘ ২৩ ১৪২৯
|| ১৪ রজব ১৪৪৪
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৯ জানুয়ারি ২০২৩
রাজশাহীর বাঘা সীমান্তে ৪৯০ কেজি ভারতীয় গরুর মাংস জব্দ করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় উপজেলার মহদিপুর উপর আতারপাড়া এলাকা থেকে এই মাংস জব্দ করা হয়েছে।
জানা যায়, কে বা কারা মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে ভারত থেকে মাংস কিনে মীরগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে আসছিল। এ সময় বিজিবির উপস্থিত টের পেয়ে ২টি চার্জার ভ্যান, ১টি থ্রিহুইলার, ৯ বস্তায় ৪৯০ কেজি মাংস ফেলে পালিয়ে যায়। বিজিবি এগুলো জব্দ করে। মাংসের মূল্যে ধরা হয়েছে ২ লক্ষ ৯৪ হাজার টাকা। তবে মাংস, ভ্যান, থ্রিহুইলারসহ মূল্য ধরা হয়েছে ৭ লক্ষ ৪৪ হাজার ৯০ টাকা।
উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোজাম্মেল হক, শফিকুর রহমান বাবু, আব্দুল মান্নান, রাহেলা বেগম জানান, গোপনে সপ্তাহের ৪-৫ দিন ভারতীয় গরুর মাংস সীমান্তের কয়েকটি পয়েন্ট দিয়ে আমদানি করা হয়। প্রতিকেজি মাংস ২৫০-৩৫০ টাকা দরে ক্রয় করে আনা হয়। বিক্রি করা হয় প্রতিকেজি ৪০০-৪৫০ টাকা দরে উপজেলার বিভিন্ন হোটেলে।
মীরগঞ্জ সীমান্তের বিজিবি ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার কাজি কামাল জানান, উপজেলার মহদিপুর উপর আতারপাড়া এলাকা থেকে চার্জার ভ্যান, থ্রিহুইলার, মাংস জব্দ করা হয়েছে। চার্জার ভ্যান ও থ্রিহুইলার ক্যাম্পে রেখে মাংগুলো কাষ্টমস কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
আলাইপুর সীমান্তের বিজিবি’র কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার আব্দুর রব জানান, মাংস আনা নেওয়ার সাথে জড়িতদের নামের তালিকা সংগ্রহ করা হচ্ছে। টহল জোরদার করা হয়েছে। এর আগে ৩৫ কেজি ভারতীয় গরুর মাংস জব্দ করা হয়েছিল। মাংস গুলো নষ্ট করে দেওয়া হয়।
স্থানীয় মাংস ব্যবসায়ী সাজেদুল ইসলাম জানান, ভারত থেকে গরুর মাংস আমদানির কারণে আমাদের বিক্রি কমে গেছে। উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেরাজুল ইসলাম মেরাজ সরকার ও মনিগ্রাম ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম জানান, উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির মানিক সভায় বিষয়টি অবগত করা হয়েছে।
উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রাণি সম্পদ অফিসার ডা. রোকনুজ্জামান জানান, ভারত থেকে আমদানি করা মাংসগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া বলা মুশকিল। তবে প্রমান সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. আশাদুজ্জামান আশাদ জানান, দীর্ঘ সময় পলিথিন ও বস্তায় মাংস রাখার কারণে গুণগতমান নষ্ট হয়ে যায়। এ মাংস খেলে বিভিন্ন রকম পেটের অসুখ সম্ভাবনা রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আখতার জানান, উপজেলার মাসিক সভায় সীমান্ত এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও থানার অফিসার ইনচার্জকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। এ ছাড়া বাজারে মনিটরিং করছি। ভারতীয় মাংস পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়