শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ||
আশ্বিন ১৩ ১৪৩০
|| ১৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০ এপ্রিল ২০২৩
চৈত্রশেষের তীব্র সূর্যদহনেও বাজারমুখী মানুষের স্রোত। ঈদের কেনাকাটা বলে কথা। ঈদের দিন যত ঘনিয়ে আসছে বাজারে ঠিক ততই ভিড় বাড়ছে। তাই রাজশাহীতে তীব্র তাপদাহ পেছনে ফেলে মানুষ ছুটছেন বাজারে, শপিংমলে। নগরীর সব বাজারেই এখন মানুষের ভিড়। সেইসঙ্গে কেনাবেচাও হচ্ছে দেদার।
ঈদকে সামনে রেখে রাজশাহীর সবখানে বেড়েছে ব্যস্ততা। সর্বাধিক কেনাবেচা হচ্ছে এবার রাজশাহীর সিল্ক পাড়ায়। দম ফেলার সময় নেই কারিগরদের। দিন যত এগিয়ে আসছে ক্রেতাদের চাপ ততই বাড়ছে। গতবারের চেয়ে এবার সিল্কপণ্যের দাম রকমভেদে ১৫ থেকে ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সুতা আমদানিতে বাড়তি টাকা লাগার কারণে কাপড়ের দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তবে বেচাবিক্রিতে কোনো ছেদ পড়েনি এবার।
এ যাবতকালের সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে এবার রাজশাহীর সফুরা সিল্ক হাউসে। রোজার শুরু থেকে গড়ে প্রতিদিন তাদের শোরুমে বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ লাখ টাকার। রবিবার সরেজমিনে রাজশাহীর সপুরা এলাকার সিল্ক পাড়া ঘুরে দেখা গেছে, একদিকে যেমন গুটি থেকে সুতা কাটা হচ্ছে, অন্যদিকে সেই সুতা থেকে মেশিনের মাধ্যমে কাপড় বোনাতে ব্যস্ত কারিগররা। সেই কাপড়ে বিভিন্ন নক্সা ফুটিয়ে তুলছেন শিল্পীরা।
কারখানায় কাপড় বানাতে ব্যস্ত যখন কারিগররা, তখন পাশের সিল্ক শো-রুমগুলোতে ক্রেতা সামলাতে হিমশিম কর্মচারীরা। রাজশাহীর সপুরা সিল্ক, ঊষা সিল্ক, আমানা সিল্ক, রাজশাহী সিল্কসহ সব প্রতিষ্ঠানেই একই চিত্র।
গত দুই বছরে তেমন সাড়া না পেলেও এবার ঈদ ও পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে রোজার আগে থেকেই চাপ বেড়েছে ক্রেতার। এবার সিল্কের শাড়ি ও পাঞ্জাবির দিকে ঝুঁকছেন ক্রেতারা। পাশাপশি থ্রি-পিস ও অন্যান্য সামগ্রীও কিনছেন তারা।
সপুরা সিল্কে শাড়ি কিনতে আসা সোমা রায়হান নামের এক ক্রেতা বলেন, আমি রাজশাহীর মেয়ে, যে কোনো ধরনের অনুষ্ঠানে সিল্কের কাপড় না হলে চলে না। তাই এ বছর ঈদেও রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী সিল্কের কাপড় কিনতে এসেছি। তবে এবার দাম একটু বেশি। কিন্তু নতুন ডিজাইন এসেছে। সপুরা সিল্ক মিলস লি.-এর পরিচালক আশরাফ আলী বলেন, বিগত কয়েক বছর করোনার কারণে আমাদের খারাপ সময় গেছে।
এবার ক্রেতাদের সাড়া ভালো। আশা করছি আগামী যে কয়েক দিন আছে ভালো সাড়া মিলবে রাজশাহী সপুরা সিল্ক মিলসের ম্যানজার সাইদুর রহমান বলন, শাড়ির দাম সিল্কের সুতা ও কাজের ওপর নির্ভর করে। এবার ২৫শ’ থেকে ৫০ হাজার টাকা দামের শাড়ি আছে। এ ছাড়াও থ্রি-পিস ৫ হাজার থেকে ৩০-৪০ হাজার টাকা দামের রয়েছে। পাঞ্জাবি সাড়ে ৩ হাজার থেকে শুরু করে ১৫ হাজার টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়